Poush Sankranti: বাঙালির পিঠে-পুলি খেতে ও খাওয়াতে ভালবাসেন! জেনে নিন পৌষ সংক্রান্তির না জানা গল্প

Last Updated:
বাঙালির পৌষ সংক্রান্তি উৎসব সম্পর্কে রয়েছে অনেক না জানা কথা! জানুন
1/7
#কোচবিহার: সমগ্র পশ্চিমবঙ্গে মকর সংক্রান্তি, পৌষ সংক্রান্তি কিংবা পৌষ পার্বণ নামেও বহুল পরিচিত। পৌষ পার্বণ নতুন ধান কাটার উৎসব হিসেবে পালন করা হয়। সদ্য কাটা ধান থেকে চাল বের করে তা দিয়ে তৈরি করা হয় চালের গুঁড়ো। এছাড়াও খেজুরের গুড় এবং পাটালি আকারে খেজুরের শরবত দিয়ে বিভিন্ন ধরণের ঐতিহ্যবাহী বাঙালি মিষ্টি খাওয়ায় তৈরি করা হয় এদিন।
#কোচবিহার: সমগ্র পশ্চিমবঙ্গে মকর সংক্রান্তি, পৌষ সংক্রান্তি কিংবা পৌষ পার্বণ নামেও বহুল পরিচিত। পৌষ পার্বণ নতুন ধান কাটার উৎসব হিসেবে পালন করা হয়। সদ্য কাটা ধান থেকে চাল বের করে তা দিয়ে তৈরি করা হয় চালের গুঁড়ো। এছাড়াও খেজুরের গুড় এবং পাটালি আকারে খেজুরের শরবত দিয়ে বিভিন্ন ধরণের ঐতিহ্যবাহী বাঙালি মিষ্টি খাওয়ায় তৈরি করা হয় এদিন।
advertisement
2/7
এই পৌষ সংক্রান্তির দিনে তৈরি করা চালের গুঁড়ো, নারকেল, দুধ এবং 'খেজুরের গুড়' দিয়ে তৈরি বাঙালি মিষ্টি 'পিঠা' নামে বহুল পরিচিত। পৌষ সংক্রান্তির আগের দিন থেকে শুরু হওয়া এবং পরের দিন শেষ হওয়া মোট তিন দিনের উৎসবে সমাজের সকল স্তরের মানুষ অংশ অংশগ্রহণ করে থাকেন। এই দিনে সবার পিঠে-পুলি খাওয়ায় বিশেষ রীতি রয়েছে।
এই পৌষ সংক্রান্তির দিনে তৈরি করা চালের গুঁড়ো, নারকেল, দুধ এবং 'খেজুরের গুড়' দিয়ে তৈরি বাঙালি মিষ্টি 'পিঠা' নামে বহুল পরিচিত। পৌষ সংক্রান্তির আগের দিন থেকে শুরু হওয়া এবং পরের দিন শেষ হওয়া মোট তিন দিনের উৎসবে সমাজের সকল স্তরের মানুষ অংশ অংশগ্রহণ করে থাকেন। এই দিনে সবার পিঠে-পুলি খাওয়ায় বিশেষ রীতি রয়েছে।
advertisement
3/7
দার্জিলিং-এর কিছু অংশে এই উৎসবটি "মাগে সক্রতি" নামে পরিচিত। এটি ভগবান শিবের উপাসনার সঙ্গে স্পষ্টভাবে জড়িত। ঐতিহ্যগত ভাবে, এই দিনে বহু মানুষ সূর্যোদয়ের সময় স্নান করেন এবং তারপরে তাদের পুজো শুরু করেন। আবার অন্য কিছু জায়গায় অনেক মানুষ গঙ্গাসাগর (যেখানে গঙ্গা নদী বঙ্গোপসাগরের সাথে মিলিত হয়েছে) সেই স্থানের জায়গায় ডুব স্নান করেন।
দার্জিলিং-এর কিছু অংশে এই উৎসবটি "মাগে সক্রতি" নামে পরিচিত। এটি ভগবান শিবের উপাসনার সঙ্গে স্পষ্টভাবে জড়িত। ঐতিহ্যগত ভাবে, এই দিনে বহু মানুষ সূর্যোদয়ের সময় স্নান করেন এবং তারপরে তাদের পুজো শুরু করেন। আবার অন্য কিছু জায়গায় অনেক মানুষ গঙ্গাসাগর (যেখানে গঙ্গা নদী বঙ্গোপসাগরের সাথে মিলিত হয়েছে) সেই স্থানের জায়গায় ডুব স্নান করেন।
advertisement
4/7
এই সময় পশ্চিমবঙ্গে গঙ্গা সাগর মেলাও অনুষ্ঠিত হতে দেখা যায়। মকর সংক্রান্তির দিনে বহু মানুষ রঙিন ঘুড়ি ওড়ান প্রাচীন প্রথা অনুযায়ি। এই উৎসব হিন্দু ধর্মের দেবতা সূর্য দেবকে উৎসর্গ করা হয়। এই সংক্রান্তির দিনে দেবী লক্ষ্মীকে সাধারণত পুজো করা হয়ে থাকে। তবে খোলা জায়গায় বা উন্মুক্ত স্থানে দেবী লক্ষ্মীর প্রতিমা পুজো করা হয় বলে একে "বাহেরলক্ষ্মী" পুজো বলা হয়ে থাকে।
এই সময় পশ্চিমবঙ্গে গঙ্গা সাগর মেলাও অনুষ্ঠিত হতে দেখা যায়। মকর সংক্রান্তির দিনে বহু মানুষ রঙিন ঘুড়ি ওড়ান প্রাচীন প্রথা অনুযায়ি। এই উৎসব হিন্দু ধর্মের দেবতা সূর্য দেবকে উৎসর্গ করা হয়। এই সংক্রান্তির দিনে দেবী লক্ষ্মীকে সাধারণত পুজো করা হয়ে থাকে। তবে খোলা জায়গায় বা উন্মুক্ত স্থানে দেবী লক্ষ্মীর প্রতিমা পুজো করা হয় বলে একে "বাহেরলক্ষ্মী" পুজো বলা হয়ে থাকে।
advertisement
5/7
প্রাচীন তথ্য অনুসারে, মকর সংক্রান্তির পরের দিনটিকে বলা হয় করিদিন বা কিংক্রান্তি। এই দিনে এক দেবী খলনায়ক কিঙ্করাসুরকে বধ করেন। মকর সংক্রান্তির তথ্য ও আভাস পঞ্চাঙ্গে পাওয়া যায়। পঞ্চাঙ্গ হল হিন্দু পঞ্জিকা। ভারতে মকর সংক্রান্তির সময় থেকে সূর্য উত্তর দিকে যেতে শুরু করার তারিখ হিসেবে ধরা হয়। হিন্দুরা এই সময়টিকে উত্তরায়ণ বা অনুগ্রহের সময় বলে বিশ্বাস করে।
প্রাচীন তথ্য অনুসারে, মকর সংক্রান্তির পরের দিনটিকে বলা হয় করিদিন বা কিংক্রান্তি। এই দিনে এক দেবী খলনায়ক কিঙ্করাসুরকে বধ করেন। মকর সংক্রান্তির তথ্য ও আভাস পঞ্চাঙ্গে পাওয়া যায়। পঞ্চাঙ্গ হল হিন্দু পঞ্জিকা। ভারতে মকর সংক্রান্তির সময় থেকে সূর্য উত্তর দিকে যেতে শুরু করার তারিখ হিসেবে ধরা হয়। হিন্দুরা এই সময়টিকে উত্তরায়ণ বা অনুগ্রহের সময় বলে বিশ্বাস করে।
advertisement
6/7
মকর সংক্রান্তির আগমনে, লোকেরা গঙ্গা, যমুনা, গোদাবরী, কৃষ্ণ, কাবেরী, শিপ্রা, নর্মদা এবং আরও অনেক পবিত্র নদীতে ডুব দেয়। বহু মানুষ সূর্য দেবতাকে শ্রদ্ধা জানায় এবং পৃথিবীকে তার উষ্ণ এবং উজ্জ্বল রশ্মি দেওয়ার জন্য তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। গঙ্গা সাগরের মতো জায়গায় মানুষ ভিড় করে স্নানের জন্য যা তাদের যেকোন ধরনের অন্যায় থেকে মুক্তি পেতে দেয়।
মকর সংক্রান্তির আগমনে, লোকেরা গঙ্গা, যমুনা, গোদাবরী, কৃষ্ণ, কাবেরী, শিপ্রা, নর্মদা এবং আরও অনেক পবিত্র নদীতে ডুব দেয়। বহু মানুষ সূর্য দেবতাকে শ্রদ্ধা জানায় এবং পৃথিবীকে তার উষ্ণ এবং উজ্জ্বল রশ্মি দেওয়ার জন্য তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। গঙ্গা সাগরের মতো জায়গায় মানুষ ভিড় করে স্নানের জন্য যা তাদের যেকোন ধরনের অন্যায় থেকে মুক্তি পেতে দেয়।
advertisement
7/7
মকর সংক্রান্তি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই দিনে পবিত্র নদীতে ডুব দেওয়া পর মোক্ষ অর্জন করা সম্ভব। এমনটাই মেনে আসা হচ্ছে প্রাচীন সময় থেকে। গ্রাম বাংলায় প্রায় প্রত্যেকটি বাড়িতে তাদের ঘরবাড়ি পরিষ্কার করে, ধানের ফুলের পেস্ট দিয়ে আল্পনা বা রঙ্গোলি আঁকে, লক্ষ্মীকে স্বাগত জানাতে আমের পাতা এবং ধানের ডালপালা ঝুলিয়ে দেয়। ধানের শীষ দিয়ে লক্ষ্মী পুজো করা হয় সম্পদের দেবীর প্রতীক।  Input-  Sarthak Pandit
মকর সংক্রান্তি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই দিনে পবিত্র নদীতে ডুব দেওয়া পর মোক্ষ অর্জন করা সম্ভব। এমনটাই মেনে আসা হচ্ছে প্রাচীন সময় থেকে। গ্রাম বাংলায় প্রায় প্রত্যেকটি বাড়িতে তাদের ঘরবাড়ি পরিষ্কার করে, ধানের ফুলের পেস্ট দিয়ে আল্পনা বা রঙ্গোলি আঁকে, লক্ষ্মীকে স্বাগত জানাতে আমের পাতা এবং ধানের ডালপালা ঝুলিয়ে দেয়। ধানের শীষ দিয়ে লক্ষ্মী পুজো করা হয় সম্পদের দেবীর প্রতীক।  Input-  Sarthak Pandit
advertisement
advertisement
advertisement