ওই প্রধানের বাড়িতে গিয়ে ডাকাডাকি করা সত্ত্বেও নিখিল বিশ্বাস বা তার স্ত্রী প্রধান বাসন্তী বিশ্বাস কেউই কোন সাড়া শব্দ দেননি। নিখিল বিশ্বাসের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। পঞ্চায়েতে গিয়েও জানা যায় বুধবার বাসন্তী বিশ্বাস পঞ্চায়েতে আসেননি। যার ফলে সন্দেহ সময়ের সঙ্গে বেড়েই চলেছে। অপরদিকে ঘটনাটি জানতে পেরে শাসকদলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
advertisement
আরও পড়ুন: এক মুঠো মুড়িতেই নানা রোগ মুক্তি! তবে মুড়ি খাওয়ার সঠিক নিয়ম জানেন তো! না হলেই বিপদ!
বিজেপি নেতা বৃন্দাবন সরকার বলেন, "চারঘাট পঞ্চায়েতের প্রধান বাসন্তী বিশ্বাসের স্বামী নিখিল বিশ্বাস চাকরি দেওয়ার নাম করে একাধিক মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। সেই টাকা দীর্ঘদিন ধরে ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। খবরটা প্রকাশ্য হতে এটা নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে। যেহেতু তিনি একজন প্রভাবশালী নেতা, সেইজন্য অনেক মানুষ তার কাছে টাকা পেলেও মুখ খুলতে চাইছে না। আমরা এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে যারা টাকা দিয়েছে তাদের টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক এবং যারা এই ধরনের টাকা নিয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।"
যদিও চারঘাটের তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি আব্দুল বারি সরদার বলেন, "এই বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। আমি কিছু শুনিওনি। আর এটা তার সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ও পারিবারিক ব্যাপার। আমি কি করে জানব? আমি কখনো নিখিল বিশ্বাসকে পার্টির মিটিংও আসতে দেখিনি। যদি তিনি দোষী হন তাহলে অবশ্যই যোগ্য শাস্তি পাওয়া উচিত।" শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে যেখানে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীই এখন জেলবন্দী অবস্থায় রয়েছেন। সেখানে ঠিক পঞ্চায়েত ভোটের আগেই পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর বিরুদ্ধে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার অভিযোগকে ঘিরে যথেষ্টই চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। আদৌ এই ঘটনার প্রভাব পঞ্চায়েত ভোটে পড়বে কিনা সেটা সময়ই বলবে। যদিও এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।
জুলফিকার মোল্যা