প্রথমে মুম্বইয়ে তাঁর পরিবার থাকতে শুরু করে। কয়েক বছর পরে পরিবার আবার দিল্লি চলে যায়। দিল্লি পাবলিক স্কুলে পড়াশোনা করেন বিনোদ খান্না। বাবার ইচ্ছে অনুযায়ী কর্মাস নিয়ে পড়াশুনো করেন তিনি। সে সময় থেকেই কলেজ থিয়েটারে যোগ দেন তিনি। সেই কলেজ থিয়েটার করতে গিয়েই প্রথম স্ত্রী গীতাঞ্জলি তলেয়ারখানের সঙ্গে পরিচয় ও প্রেম। photo source collected
আচমকাই তিনি ওশোর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। তিনি ওশোর চিন্তাধারায় তিনি এতটাই প্রভাবিত হয়েছিলেন যে, বলি ইন্ডাস্ট্রি থেকেও নিজেকে পুরোপুরি সরিয়ে নেন।আশ্রম থেকে তাঁকে আমেরিকায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সংসারের মায়া ত্যাগ করেছিলেন বিনোদ। পরিবারের সঙ্গে সে সময়টা তাঁর দেখা তো দূর, কথাও হত না ঠিকভাবে। এই সময় বিনোদকে ডিভোর্স দেন স্ত্রী গীতাঞ্জলী! শোনা যায় এই সময় ওশোর আশ্রম ছাড়া কিছু জানতেন না বিনোদ। এই ওশো অনেক সময় ব্যবহার করেছেন বিনোদকে। এই আশ্রম নিয়ে বহু তর্ক দ্বিমত আজও আছে। আমেরিকাতে চলে যাওয়ায় শেষ হয়ে যায় বিনোদের কেরিয়ার। photo source collected
মহেশ ভাটই বিনোদকে নিয়ে যান ওশোর আশ্রমে। মহেশ ভাট বেরিয়ে এলেও বিনোদ সেখান থেকে বেরোতে পারেননি। ৫ বছর পর যখন আবার জীবনে ফেরার কথা ভাবলেন বিনোদ। তখন সব শেষ। সে সময় বিনোদের সঙ্গে অমৃতা সিংয়ের একটা প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হলেও টেকেনি। এর পর ফের তিনি কবিতা দফতরি নামের এক মহিলাকে বিয়ে করেন। photo source collected
এর পর দুই সন্তান হয়। তবে বিনোদের প্রথম পক্ষের সন্তানরা তাঁর সঙ্গে আর যোগাযোগ রাখেননি। এমনকি ২০১৭ সালে বিনোদের মৃত্যুতেও আসতে চাননি দুই ছেলে। বিনোদ একবার ফের বলিউডে ফিরতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পাঁচ বছর পর তিনি ফিরে দেখলেন অমিতাভ তখন সুপারস্টার। আর সেভাবে ফেরা হয়নি তাঁর। ওশোর আশ্রমেই শেষ হয়ে গেল এক ঝকঝকে তারকা। না হলে হয়ত আজ বলিউডের গল্পটাই অন্য হত!photo source collected