শীতের মরশুমেও হাবরার কুমড়ো এলাকায় দেখা মিলল এ ধরনেরই একটি চারি তৈরির কারখানার। ভোর থেকে শুরু হয় মাটি দিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে চারি তৈরির কাজ। বহু মহিলারা মাটি থেকে পাটে পাটে তৈরি করেন রিং। তা জোড়া দিয়ে শুকিয়ে তৈরি করা হয় ছাঁচ। এরপরই কাঁচা চারী গুলোকে আগুনে পুড়িয়ে শক্ত লালচে রং এর করে তোলা হয়। কষ্টসাধ্য এই কাজে মধ্য দিয়েই সংসার চলে অন্তত ৫০ থেকে ৭০ জন কর্মীর।
advertisement
আরও পড়ুনঃ রাজ্যে সেরা হয়ে, এবার দেশের প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে গ্রাম বাংলার ছাত্র-ছাত্রীরা
সরকারি নির্দেশ মেনে, বর্তমানে মাটি যোগান পর্যাপ্ত পরিমাণে না পাওয়ার কারণে সমস্যা দেখা দিয়েছে চারি শিল্পীদের মধ্যে। বর্তমান প্রজন্ম ধীরে ধীরে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে এই শিল্প থেকে। মূল্যবৃদ্ধির বাজারে অনেকটাই বেড়েছে খরচা সেই অনুপাতে বাড়েন মাটির তৈরি এই চারির দাম। এছাড়াও রয়েছে জ্বালানি কাঠ। তার মূল্য বেড়েছে বেশ অনেকটাই। বর্তমানে চারি শিল্পীরা সরকারের কাছে আবেদন রাখছেন, তাদের দিকে একটু হলেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার।
আরও পড়ুনঃ বামনগাছি স্টেশন থেকে বেহাল রাস্তা দিয়েই প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে চলে যাতায়াত!
মাটির জোগান ঠিকঠাক পাওয়া গেলেই পুনরায় তারা আবারও লাভের মুখ দেখতে পারেন বলেই মনে করছেন শিল্পীরা। এছাড়াও তাদের জন্য যদি কোনও বিশেষ ভাতা বন্দোবস্ত করা হয় সে ক্ষেত্রে অনেকটাই সাহায্য হবে বলে দাবি এই চারি শিল্পীদের। সরকারি সহযোগিতার পথ চেয়ে রয়েছেন এই শিল্পীরা।
Rudra Narayan Roy