এদিন মায়ের প্রাণ প্রতিষ্ঠার সঙ্গেই হয় চক্ষুদান। মায়ের মূর্তির সামনে একটি অখণ্ড জ্যোতি বসানো হবে, যা একটানা ১২ বছর জ্বলবে বলেও জানা গিয়েছে। আর তাই মাকে ১০০ ভরির গয়নায় সাজানো হয়েছে, ৩৬৫ দিন ২৪ ঘণ্টাই এমন বেশে দেখা যাবে মাকে। ২৯ তারিখ তিথি ও সময় ধরে ১২:৫৫ মিনিটে উদ্বোধন করা হয় বড়মার কষ্টিপাথরের এই নতুন মূর্তি, এই মর্মে মন্দির কমিটির তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে।
advertisement
ইতিমধ্যেই মন্দিরের নিরাপত্তায় ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারের থেকে সর্বক্ষণের জন্য পুলিশকর্মীদের মোতায়েন করা হয় বলে জানান কমিটির সম্পাদক তাপস ভট্টাচার্য। দীর্ঘ বছর ধরে যেভাবে বড়মার মূর্তি দেখে আসছেন ভক্তরা, ঠিক যেন তেমন হুবহু রূপ দেওয়া হয়েছে কষ্টিপাথরের এই নতুন মূর্তির।
এবছরই উদযাপন করা হচ্ছে নৈহাটির জাগ্রত বড়মার মন্দিরের ১০০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান। জেলা ও রাজ্যের পাশাপাশি দেশ-বিদেশেও বহু ভক্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বড়মার। কালীপুজো ছাড়াও সারা বছরই বড়মার মন্দিরে ভিড় লেগে থাকে ভক্তদের। এবার নতুন মন্দিরে আরও বেশি সংখ্যক ভক্ত একত্রিত হয়ে মাকে দেখতে পারবেন পাশাপাশি পুজো ও যাবতীয় প্রয়োজনীয় কার্যকলাপ সারতে পারবেন বলেই মন্দির কমিটির সূত্রে জানা গিয়েছে। কষ্টি পাথরের স্থায়ী বড়মার মূর্তি মন্দিরের স্থাপন হতেই, খুশি নৈহাটিবাসী-সহ বড়মার সকল ভক্তই।