প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন পূর্ব ভারতের ন’টি রাজ্যের ৭০ জন দৃষ্টিহীন প্রতিযোগী। রাজ্যভিত্তিক বাছাই পর্বে নির্বাচিত হয়েছেন তাঁরা। এই প্রতিযোগিতা থেকেই পরবর্তীতে জাতীয় স্তরে খেলার যোগ্য দাবাড়ুরা নির্বাচিত হবেন বলেই জানা গিয়েছে। অল ইন্ডিয়া চেস ফেডারেশনের উদ্যোগে এই প্রতিযোগিতার দায়িত্ব সামলেছে গুমা প্রেরণা অডিও লাইব্রেরি নামে দৃষ্টিহীনদের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
advertisement
এই সংস্থা দৃষ্টিহীন ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষার জন্য অডিও বই তৈরি করে ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলে দিয়েছে। সংস্থার সভাপতি তারক চন্দ নিজেও দৃষ্টিহীন। তিনি জানান, চেস ফেডারেশনের তরফে বলা হয়, এই প্রতিযোগিতা না হলে জাতীয় স্তরে খেলার স্বপ্ন অধরাই থাকবে এই ৭০ জন প্রতিযোগীর। তাই ফান্ডের অভাব থাকলেও দায়িত্বটা নিজেই তুলে নেন তারকবাবু।
দৃষ্টিহীনদের জন্য দাবার বোর্ডেও বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। সাদা ঘরগুলি কিছুটা উঁচু, কালো ঘরগুলি সমতল। সাদা গুটিগুলিও সামান্য উঁচু, যাতে হাতের স্পর্শে বোঝা যায় কোন গুটি কোথায়। আর তাই চোখে না দেখেও আঙুলের ছোঁয়ায় নির্ভুলভাবে ঘোড়া, নৌকা কিংবা রাজার চাল চালছেন প্রতিযোগীরা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
উদ্যোক্তারা জানান, দৃষ্টিহীন দাবাড়ুরাও যেন মেধার জোরে দাবার বোর্ডে সাধারণ দৃষ্টিশক্তি থাকা প্রতিযোগীদের সঙ্গে টক্কর দিতে পারেন সেই চেষ্টায় এই উদ্যোগ। কারণ শেষ পর্যন্ত দাবার বোর্ড তো সবার জন্যই এক- ৬৪টি ঘর। তাই শারীরিক প্রতিকূলতাকে দূর করে এই যোদ্ধারাই ৬৪ ঘরের বোর্ডে এখন লিখছেন নিজের জয়ের গল্প।





