পাত্র-পাত্রী দুজনেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিয়ম মেনে বিয়ের পর হল মালাবদলও, উলুধ্বনির মাধ্যমে। আর এই দৃশ্য স্বচক্ষে দেখলেন কয়েকশো নিমন্ত্রিত অতিথি। পাত্রী খালেদা খাতুনের বয়স যখন সাত বছর তখন তার বাবা মারা যান। দুই ভাই, ছয় বোনের অভাবের সংসার ছিল তাদের। ছোট বোন খালেদা। সংসারের হাল ধরতে খালেদা খাতুনের মা মসলন্দপুরের রাজবল্লভপুর গ্রামের বসু বাড়িতে পরিচারিকার কাজ শুরু করেন। অভাবের ফলে এরপর খালেদা পড়াশুনা ছেড়ে দিয়ে মায়ের সঙ্গে বসু পরিবারে কাজ শুরু করে। সেই থেকে এখনো বসু বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন মা ও মেয়ে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ দু'বার শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন নিজের জীবন! কিন্তু থেমে যাননি! রইল সঞ্জয়র ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প
তবে বসু পরিবারের বর্তমান কর্ণধার কল্পনা বসু ও ছেলে বিষ্ণু বসু, খালেদা খাতুনকে পরিচারিকা বলতে নারাজ। খালেদাকে তারা বসু পরিবারের বড় মেয়ে হিসাবেই দেখেন। প্রায় ১০ বছর ধরে এই বসু বাড়িতেই কাজ করছে সে। এখন পরিবারের একজন অন্যতম সদস্য হয়ে উঠেছে খালেদা। পাত্র সুজন মন্ডলও বসু বাড়িতেই গাড়ি চালানোর কাজে কর্মরত। সুজনের বাড়ি বাদুড়িয়া থানার ঘোষপুড়ে।
আরও পড়ুনঃ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ১১৮০ টি পরিবেশবান্ধব বাস চলবে তিলোত্তমা জুড়ে
নিমন্ত্রিত অতিথি থেকে প্রতিবেশীরা, কেউই ভাবতে পারেননি খালেদা খাতুনের বিয়ে হবে এভাবে ধুমধাম করে। মাঠের একদিকে বসেছে বিয়ের আসর, অন্যদিকে বসেছে খাওয়া-দাওয়ার এলাহি আয়োজন। স্ন্যাক্স থেকে শুরু করে আইসক্রিম, ডাল ভাত থেকে শুরু করে দুই রকম মাছ মাংস, দুই রকম মিষ্টি সহ একাধিক পদ খাওয়ানো হয় নিমন্ত্রিতদের। সোমবার রাতে আরো একবার এলাহি আয়োজনের মধ্যে দিয়ে হল বৌভাত। নব দম্পতিকে শুভেচ্ছা ও আশীর্বাদ জানালেন সকলে।
Rudra Narayan Roy