তিলোত্তমার চিড়িয়াখানা, ভিক্টোরিয়া, যাদুঘর, সায়েন্স সিটির পাশাপাশি ভিড় উপচে পড়বে সল্টলেকের নিক্কোপার্ক, নিউটাউনের ইকো পার্কে-সহ অ্যাকোয়াটিকা, সিটি সেন্টার এবং শহর-শহরতলি লাগোয়া নানা জায়গায়।ইতিমধ্যেই, প্রতিদিন ইকো পার্কে গড়ে প্রায় ২৫-৩০ হাজার মানুষ বেড়াতে আসছেন।
২০২১ সালের বড়দিনে ইকো পার্কে পা রেখেছিলেন প্রায় ৬০ হাজার মানুষ। এ বছর সংখ্যাটা এক লক্ষ পেরিয়ে যাবে বলে আশা হিডকোর আধিকারিকদের। সেই জন্য ২৪, ২৫ ও ৩১ ডিসেম্বর এবং ১ জানুয়ারি ইকোপার্কে কম করে ১০০০ পুলিশ মোতায়েন করার চিন্তাভাবনা করেছে বিধাননগর কমিশনারেটের কর্তারা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ খুলনা থেকে মধ্যমগ্রামে ময়না-সন্তু, কলকাতার রসগোল্লায় তুমুল নাচ দেবশ্রী-সন্তুর, ভাইরাল ভিডিও
কমিশনারেট সূত্রে খবর, বর্ষবরণের রাতে শুধু সল্টলেক কিংবা নিউটাউন নয় বেপরোয়া বাইক, চার চাকার দৌরাত্ম বাড়ে কাজি নজরুল ইসলাম সরণি, রাজারহাট মেন রেড এবং বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে। তাই রাজারহাট নিউটাউন, সল্টলেকের পাশাপাশি পুলিশের বিশেষ নজরদারি থাকবে বাগুইআটি, লেকটাউন, বিমানবন্দর এলাকায়। তবে পুলিশের সবচেয়ে বেশি মাথাব্যথা নিউটাউন নিয়ে।
হস্তশিল্প মেলা চলার কারণে গোটা ডিসেম্বর জুড়ে ব্যাপক ভিড় হয়েছিল নিউ টাউনে। বছর শেষে ইকোপার্কে রেকর্ড ভিড় হবে এমনটা আশা করে ইতিমধ্যেই একগুচ্ছ ব্যবস্থা নিয়েছে হিডকো ও বিধাননগর সিটি পুলিশ। বিধাননগরের এক ট্র্যাফিক কর্তা বলেন, ‘যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আমরা প্রতিদিন ৩০০ ট্রাফিক পুলিশ রাস্তায় নামাব। ইকোপার্কের পার্কিং লট ছাড়াও অতিরিক্ত পার্কিং প্লেস তৈরি করা হচ্ছে বাড়তি গাড়ি পার্ক করার জন্য।'
আরও পড়ুনঃ সরষে ক্ষেতের মধ্যে রক্তমাখা বস্তা! মুখ খুলতেই নিখোঁজ ৫ বছরের শিশু দেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য শান্তিপুরে
অন্যদিকে, ইকোপার্কের ভিতরে ২৪ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন অফিসার, কনস্টবেল, লেডি কনস্টবেল মিলিয়ে ১০০০ পুলিশকর্মী মোতায়েন থাকবে। এদের মধ্যে যেমন সাদা পোষাকের পুলিশ থাকবে তেমন উর্দীধারীরাও থাকবেন। পার্কের চার পাশে এবং প্রবেশদ্বার গুলিতেও টহলদারি ভ্যান এবং অফিসার থাকবেন। ইকোপার্কের ভিতরে ও বাইরে যে সিসিটিভি আছে সেগুলিতে পার্ক কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশের নজরদারি থাকবে। মহিলাদের সুরক্ষার জন্য পুলিশের উইনার্স টিমের বিশেষ নজরদারি থাকবে রাস্তায় ও শপিং মলের সামনে।
তবে শুধু বছর শেষের হুল্লোড় নয়, গোটা শীতকাল জুড়েই রেকর্ড ভিড় হচ্ছে নিক্কোপার্ক, অ্যাকোয়াটিকাতে। সেক্টর ফাইভের বিভিন্ন বার কাম রেস্তোরাঁগুলোতেও ভাল ভিড় হওয়ার আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, চিনারপার্ক ও বাগুইআটি এলাকার পানশালাগুলোতেও বিশেষ নজরদারি দেওয়া হচ্ছে। বিগত কয়েকবছরে বর্ষবরণের রাতে ওই এলাকাগুলোতে বেশ কয়েকবার ঝামেলা পাকিয়েছে উন্মত্ত যুবকের দল। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সেব্যাপারে যথেষ্ট সজাগ বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তারা। পাশাপাশি করোনা আতঙ্ক ইতিমধ্যেই নতুন করে মাথা চারা দেওয়ায় বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হবে শহরজুড়ে বলেই মনে করা হচ্ছে।
রুদ্র নারায়ন রায়