বছর চারেক আগে উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ার কুলটি গ্রামের সাদ্দাম আলি মোল্লার সঙ্গে বিয়ে হয় সালমা বিবির। পেশায় দিনমজুর সাদ্দাম ও তার মা-বাবা বিয়ের পরই সালমার বাপের বাড়ি থেকে পাওয়া যাবতীয় গয়নাগাটি কেড়ে নেয় বলে অভিযোগ। বছর তিনেক আগে কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর থেকেই এই বধূর উপর স্বামী সাদ্দাম, শ্বশুর মোবারক মোল্লা ও শাশুড়ি আফুজা বিবির অত্যাচার বাড়তে থাকে। শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি তাঁকে মানসিক নির্যাতনও করা হত বলে সালমার বাপের বাড়ির অভিযোগ। বেশ কয়েকবার তাঁকে মারধোর, এমনকি বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
advertisement
আরও পড়ুন: সুন্দরবনের মধু মৌলেদের থেকে আরও বেশি টাকায় কিনবে বন দফতর
সম্প্রতি বাপের বাড়ি থেকে পাঁচ হাজার টাকা এনে দিতে না পারায় রাতের অন্ধকারে স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি মিলে ওই বধূর গলা টিপে খুনের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। সালমার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। তাঁরাই গুরুতর আহত অবস্থায় ওই বধূকে প্রথমে মিনাখাঁ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে চিত্তরঞ্জন মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়।
এই ঘটনার পরেই সালমার বাপের বাড়ির লোকজন তাঁর স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ির নামে থানায় এফআইআর দায়ের করেন। পুলিশ অভিযোগ পেয়ে ওই বধূর স্বামী সাদ্দাম আলি মোল্লাকে গ্রেফতার করেছে। তাঁর শশুর ও শাশুড়িকেও ডেকে পাঠিয়েছে থানায়। ওই বধূর পরিবার অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
জুলফিকার মোল্লা