পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালে দুর্গাপুজোর সময় বাজি ফেটে রজতের ডান চোখে আঘাত লাগে তারপর থেকে সাধ্যমতো অনেক চিকিৎসা হলেও ডান চোখে দেখতে পান না রজত। পাশাপাশি আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ যে রজতকে তেমনভাবে পড়াশুনায় সাহায্য করতে পারেন নি তার বাবা অশোক ভট্টাচার্য। একটি রেশন দোকানে কাজ করে যেটুকু উপার্জন হয় তাতেই কোনমতে চলে সংসার। ছেলে পড়াশুনায় ভালো হলেও তার জন্য গৃহশিক্ষকের প্রয়োজন থাকলেও তা পুরন করা সম্ভব হয়নি বাবার। সংসার। বাবা অশোক ভট্টাচার্যের বিশ্বাস, ছেলের যদি দুটো চোখই ঠিক থাকতো তবে কোন না কোন র্যাঙ্ক করতো । তিনি জানিয়েছেন, রজতের চোখ ফিরে পাওয়ার আশা ওখনো শেষ হয়ে যায় নি। চিকিতসকরা জানিয়েছেন এখনো চোখ ঠিক হওয়ার আশা রয়েছে রজতের। তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন সরকারিকোন সাহায্য পেলে রজতের ডাব্লু বি সি এস পড়ার আশা পুরন হওয়া সম্ভব হবে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ মেট্রোর কাজে যানজট হলদিরাম-চিনারপার্কে, খোঁজ বিকল্প রাস্তার
ছোটবেলা থেকেই পড়াশুনায় মেধাবী রজত। কোন শিক্ষক না থাকলেও যখনই কোন জায়গায় আটকাতো তখন পরিচিত কিছু দাদারা সহযোগিতা করতো বলে জানায় রজত। রজতের পড়াশুনার প্রতি এতটা আগ্রহ দেখে তাকে সবসময় সাহায্য করতে প্রস্তুত থাকতো তার শুভানুধ্যায়ীরা। পরিবারের আর্থিক অবস্থা ও তার এক চোখ না থাকা কোন ভাবেই যে তার বাধা হয়ে ওঠে নি তা প্রমান করল রজত।
রুদ্র নারায়ণ রায়