জানা যায়, ছেলে এবং বৌমাকে নিয়ে মায়াপুর বেড়াতে গিয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার গোপালচন্দ্র পাল। কৃষ্ণনগর থেকে রানাঘাট হয়ে বনগাঁ থেকে ফিরছিলেন তাঁরা। শিয়ালদহগামী লোকাল ট্রেনে উঠে, মসলন্দপুর স্টেশনে নামবেন বলে আগের স্টেশন গোবরডাঙা আসার আগেই তাঁরা ট্রেনের গেটের সামনে এসে দাঁড়ান। বৌমা মৌসুমী পালের হাতে ছিল গুরুত্বপূর্ণ নথি টাকা-সহ ব্যাগ। সেই সময় ট্রেনও বেশ ফাঁকাই ছিল বলে জানা গিয়েছে। ট্রেন গোবরডাঙা স্টেশন ছাড়তেই, ট্রেনের ভেতরে যাত্রী সেজে থাকা এক ছিনতাইবাজ হঠাৎই কিছু বুঝে ওঠার আগে গোপালবাবুর বৌমার হাতের ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে চলন্ত ট্রেন থেকে লাফ দেয়।
advertisement
অন্যদিকে, স্ত্রীর ব্যাগ ছিনতাই হতেই, গোপালবাবুর ছেলেও চোরকে ধরতে চলন্ত ট্রেন থেকে ঝাঁপিয়ে পড়েন বলেই জানা যায়। মুহূর্তেই স্টেশনে চিৎকার শুরু হয়ে যায়। চিৎকার শুনে স্টেশন চত্বরে থাকা লোকজন এগিয়ে এসে শেষ পর্যন্ত হাতেনাতে ধরেন ওই ছিনতাইবাজকে। অবশেষে চোর ধরা পড়ায় নিজের খোয়া যাওয়া জিনিসপত্র-সহ ব্যাগ ফিরে পান গৃহবধূ। বিপদের হাত থেকে রক্ষা মেলে পাল পরিবারের।
আরও পড়ুন: রবিবার দিনভর ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচলে বিপত্তি! হাওড়া ব্যান্ডেল শাখায় ভোগান্তি চরমে
ধৃত ছিনতাইবাজকে এরপর পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ওই ছিনতাইবাজের নাম আলমগীর মণ্ডল। বাড়ি গাইঘাটা থানার বেড়ি গোপালপুর এলাকায়। তবে বেড়াতে গিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বনগাঁ লোকালে এভাবে ছিনতাইবাজের কবলে পড়তে হবে, তা কল্পনাও করতে পারেনি পাল পরিবার। এই খবর জানাজানি হতেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে যাত্রীদের মধ্যে। ফলে রাতের বনগাঁ লোকালে যাতায়াত করা যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। রেল পুলিশের কাছে নিরাপত্তারও দাবি জানাচ্ছেন অনেকে।
Rudra Narayan Roy