অনবদ্য এই টাইম মেশিন জার্নির সাক্ষী থাকতে দর্শকদের ঢল নামছে দমদম তরুণ দলের পুজো প্রাঙ্গনে। রুশ ইউক্রেনের যুদ্ধে শান্তির বার্তা নিয়েই বাগুইআটি নজরুল পার্ক উন্নয়ন সমিতির ৩৯ তম বর্ষের এ বছরের থিম অসমাপ্ত। সূদুর ইউক্রেনে এখন যুদ্ধ চলছে। ইউক্রেন রাশিয়ার সরাসরি গোলাবারুদের বর্ষণ, ক্ষমতা জাহিরের লিপ্সা, অধিকার কায়েমের গর্ববোধের কাছে এক নিমেষে হারিয়ে গেছে চোখের জল, উদ্বাস্তুর হাহাকার,স্বজনহারা আর্তনাদ শব্দ গুলি। সবই কেমন অসমাপ্ত ঘটনা। ইউক্রেন রাশিয়ার দুই দেশের বর্তমানের সময়, পারিপার্শ্বিক হিংসার পরিস্থিতি ও আরেক দিকেই সংকটময় পরিস্থিতিতে ইউনেস্কোর দ্বারা মা দুর্গার বিশ্বজনীন স্বীকৃতিলাভ। সেসব উঠে এসেছে নজরুল পার্কের পুজোর ভাবনায়।
advertisement
ভাগাড়ের মাঝে ফুল ফোটানো এক অন্নপূর্ণার কাহিনীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ৪২ বর্ষে বাগুইহাটি অশ্বিনী নগর বন্ধুমহল ক্লাবের থিম ‘ভাগাড়ের মা’।অনেকেই হয়ত নদীয়ার রানাঘাটের পাপিয়া করের নাম শুনেছেন। শিয়ালদা থেকে ৭৬ কিলোমিটার দূরের সেই জনপদে তিনি নিজে প্রতিমা গড়েন। উপার্জনের সেই পয়সা দিয়ে তিনি দিন দুঃখীদের নতুন জামাকাপড় কিনে দেন। তিনি চেষ্টা করেন অনাহারে থাকা ক্লিষ্ট শিশুদের শিক্ষার আলো দেখানোর। এবার মা মানবী অন্নপূর্ণা পাপিয়া কর কে নিয়ে থিম গড়েছে বন্ধুমহল ক্লাব। মন্ডপ সজ্জা দেখে মনে হবে রানাঘাট রেল স্টেশন উঠে এসেছে বাগুইআটিতে।
নিম, মহানিম আর বকুল কাঠ দিয়ে তৈরি হয়েছে মা দুর্গার মূর্তি। ওজন প্রায় দেড়শ কেজি। চালচিত্র মহানিম এর তৈরি, বাকি টা নিম আর সদ্য বকুল। সদ্য বকুল মায়াপুর এ জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার মূর্তি তৈরি তে ব্যবহৃত হয়।এগুলির পাশাপাশি এবার আসর কাপাচ্ছে নিউ টাউন সার্বজনীন। উদ্যোক্তাদের দাবি নিউ টাউনের সবচেয়ে বড় শারদোৎসবের আয়োজন করেছেন তাঁরাই। পিছিয়ে সিই ব্লক এ্যাসোসিয়েশন। তাঁদের এবারের থিম পুরুলিয়া।
আরও পড়ুনঃ পুলিশের কাছ থেকে পুজোর উপহার পেলেন হাবরার দুস্থ মানুষেরা
পুরুলিয়া কে থিম করে এবারে নিউটাউনের সি ই ব্লক পুজো করার উদ্যোগ দিয়েছেন। রাঢ় অঞ্চলের টুসু, ভাদু, ছৌ নাচ, ঝুমুর, পাতা নাচ, বাহা নাচ, সহ্ সমস্ত কিছু ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়েছে এখানে। অযোধ্যা পাহাড়, জয়চন্ডী পাহাড়, গড় পঞ্চকোট, কাশীপুরের রাজবাড়ি মাঠার জঙ্গল মরগুমা জলাধার, বড়ন্তি লেক, তেলকুপি, দেউলঘাটা মন্দির সমৃদ্ধ পুরুলিয়ার আনাচে-কানাচে যে সৌন্দর্যতা ছড়িয়ে রয়েছে সেটাই তুলে ধরা হচ্ছে এখানে।
আরও পড়ুনঃ ভিড় রাস্তায় হাতাহাতিতে জড়ালেন সিভিক ভলেন্টিয়ার ও টোটো চালকরা
আদিবাসীদের জীবনযাত্রা তাদের সরলতা তাদের সংস্কৃতি সমস্ত কিছুর দেখা মিলবে এখানে। সাথে ষষ্ঠী থেকে শুরু করে দশমী পর্যন্ত কোভিড পরবর্তী দু'বছর পর দুবেলা পেট পুরে খাওয়া দাওয়ার ব্যাবস্থা করা হয়েছে, থাকবে আড্ডার জায়গা, স্টল মেলা সব কিছু মিলে এবারের জমজমাট হবে নিউটনের সি ই ব্লকের শারদ উৎসব। সব মিলিয়ে কলকাতা লাগুয়া এই জেলার পুজো এবার জমজমাটি।
Rudra Narayan Roy