আরও পড়ুন: ‘ভুল’ ভ্যাকসিনে ফুলে গিয়েছে শিশুর হাত! মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীকে আটকে বিক্ষোভ পরিবারের
ডেঙ্গি সামলাতে হিমশিম অবস্থা বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার। পুজো যত এগিয়ে আসছে ততই যেন বেড়ে চলেছে ডেঙ্গির উপদ্রব। গত সপ্তাহে টানা বৃষ্টিতে বসিরহাটের বিভিন্ন এলাকায় জল জমে গিয়েছে। আর তারপরই ডেঙ্গি সংক্রমণ আরও ব্যাপক আকার ধারণ করে। বসিরহাট মহকুমায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যে ৫০০ ছাড়িয়েছে। ডেঙ্গির পাশাপাশি জ্বর, সর্দি-কাশির প্রবণতাও বাড়ছে। সেই সমস্ত উপসর্গ নিয়ে বসিরহাট জেলা হাসপাতালের পাশাপাশি হাড়োয়া, সন্দেশখালি, বাদুড়িয়া, টাকি সহ একাধিক গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা।
advertisement
বসিরহাট জেলা হাসপাতাল চত্বরে ময়লা আবর্জনার পাশাপাশি ড্রেনে দেখা যাচ্ছে মশার লার্ভা। এই অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা করতে এসে উপকারের বদলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ সকলে। বসিরহাট জেলা হাসপাতাল, সাণ্ডেলেরবিল গ্রামীণ হাসপাতাল ও হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালের ছবি আরও ভয়ঙ্কর। সেখানে কোথাও পড়ে আছে ডিসপোজাল গ্লাভস, আবার কোথাও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে হাসপাতালের রোগীদের ব্যবহৃত বর্জ্য। ডেঙ্গির এই বাড়ন্ত কালে যা এক ভয়ানক ছবি। বিষয়টি নিয়ে বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতর বা হাসপাতালের সুপাররা মুখে কুলুপ এঁটেছেন। কিন্তু কবে বদলাবে এই ছবি? রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের একাধিক স্বচ্ছতা প্রকল্প ও রাজ্যজুড়ে ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তের পরেও কী করে এতটা উদাসীন হয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ? প্রশ্ন কিন্তু উঠছেই।
জুলফিকার মোল্লা