সেখানেই স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরা হাজির হয়ে ওই যুবকের আরটিপিআর রিপোর্ট সম্পর্কে জানান এবং তাঁকে হোম আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দেন। যুবক তৎক্ষণাৎ বাড়ি চলে যান। যদিও এভাবে সংক্রমণ নিয়ে বিনোদন পার্কে ঘুরে বেড়ানোর ফলে তিনি আর কতজনকে সংক্রামিত করলেন তা নিয়ে তৈরি হয়েছে দুশ্চিন্তা।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, বছর ছাব্বিশের ওই যুবকের বাড়ি সল্টলেকের সিকে ব্লকে। গত ২৮ ডিসেম্বর তিনি জার্মানীর স্টানফোর্ড থেকে দিল্লিতে আসেন। সেখানে ওইদিন সাড়ে দশটা নাগাদ তাঁর আরটিপিআর টেস্ট হয়। টেস্টের রিপোর্ট পাওয়ার আগেই তিনি বিমান ধরে কলকাতায় আসেন। বিমানবন্দর থেকে সোজা সল্টলেকের বাড়িতে চলে যান। এরপর ওইদিনই তাঁর নমুনা পরীক্ষা হলে জানা যায় তিনি কোভিড পজেটিভ।
advertisement
পরেরদিন ওই যাত্রীর রিপোর্ট ও যাবতীয় তথ্য কলকাতা বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। বিমান বন্দর আবার সেটি রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরকে জানায়। যদিও ফোন নম্বরের গণ্ডগোল থাকায় ওই যুবকের সঙ্গে কিছুতেই যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। এদিন বিধাননগর পুর নিগমের কর্মীরা ওই যুবকের ঠিকানায় গিয়ে জানতে পারেন তিনি নিকো পার্কে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সেখানে গিয়ে তাঁকে পাকড়াও করেন স্বাস্থ্য কর্মীরা। বিধাননগর পুর নিগমের চেয়ারম্যান কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন, ‘অনেক চেষ্টা চরিত্র করে ওই যুবকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
আরও পড়ুন: South 24Parganas News: শহর নয়, গ্রামবাংলার জীবনরূপ হয়েই বেঁচে আছে নবান্ন উৎসব
আরও পড়ুন: থাকবে মেডিক্যাল ক্যাম্প, করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে কালনায় সরস্বতী পুজোর আয়োজন
আপাতত উনি গোটা পরিবারের সাথে হোম আইসোলেশনে আছেন।‘ তবে বিনোদন পার্কে ওই যুবকের সংস্পর্শে যারা এসেছেন তাদের ক্ষেত্রে সংক্রমনের সম্ভবনা বেড়ে গিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। অবিলম্বে বিষয়টি নিয়ে খোঁজ খবর নেওয়া শুরু হয়েছে বলেও স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর।
রুদ্র নারায়ণ রায়