রেল সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে ডাউন বারাসত-হাসনাবাদ লোকাল ভাসিলা ছেড়ে হাড়োয়া রোড ষ্টেশনে ঢোকার আগে বনবিবি তলার কাছে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন ডেভিড। মুহূর্তের মধ্যে চলন্ত ট্রেনের ধাক্কায় ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারের দেহ ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে শুক্রবার ভোরে ওই এলাকায় রেললাইন ধরে তল্লাশি চালিয়ে তাঁর দেহ উদ্ধার করেন বারাসাত জিআরপির কর্মীরা।
advertisement
আরও পড়ুন: গরমে নাজেহাল শহরবাসীর ক্ষণিকের ঠিকানা বৈকুন্ঠপুর জঙ্গল
মৃত সিভিক ভলেন্টিয়ারের পরিবার সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধেয় ডেভিড দেবনাথ বাড়ি থেকে সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে ছিলেন। রাতে বাড়ি ফিরতে দেরি হতে পারে বলে স্ত্রীকে ফোন করে জানিয়েও ছিলেন। পরের স্থানীয় এক ব্যক্তির কাছ থেকে স্বামীর মৃত্যুর খবর পান তাঁর স্ত্রী। কিন্তু হঠাৎ কেন ডেভিড আত্মঘাতী হলেন সে বিষয়ে কিছু বলতে পারছেন না তাঁর স্ত্রী।
দেগঙ্গা থানায় ডেভিডের সহকর্মীদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, সিভিক ভলেন্টিয়ারের কাজের পাশাপাশি সে অনলাইনে মোবাইল, ডিটিএইচ রিচার্জের কাজও করত। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে বেশ কয়েকজন পরিচিত তাঁর কাছ থেকে ধারে মোটা অঙ্কের রিচার্জ করে নিলেও আর টাকা ফেরত দিচ্ছিল না। এই নিয়ে মানসিক চাপে ছিলেন ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার। তার থেকেই এমন চরম সিদ্ধান্ত কিনা সেই সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে মনে করছেন মৃত সিভিক ভলেন্টিয়ারের ঘনিষ্ঠরা। ইতিমধ্যেই রেল পুলিশের পাশাপাশি দেগঙ্গা থানাও গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
জিয়াউল আলম