তাঁরা জানান, আদতে এই কলেজে ৩০০০ ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। বিগত ৫ বছর ধরে মোট ২৫ থেকে ৩০টি সিসি ক্যামেরা আছে। কিন্তু ইদানিং সপ্তাহ দু’য়েক আগে কলেজের অধ্যাপিকাদের কমন রুম পার্শ্বস্ত মহিলা টয়লেটের দরজার ঠিক বাইরে একটি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়। পাশাপাশি ছাত্রীদের যেখানে টয়লেটের দরজা রয়েছে তার বাইরেও একটি সিসিটিভি ক্যামেরা ইন্সটল করা হয় অধ্যক্ষের নির্দেশে। যার জেরে মহিলা অধ্যাপিকা ও ছাত্রীদের শালীনতা খর্ব হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। অধ্যাপিকা ও ছাত্রীরা বলেন, ‘আমরা কেউই সিসিটিভির বিরুদ্ধে নই। কলেজে দীর্ঘদিন ধরেই সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে মহিলা শৌচালয়ের ঠিক সামনেই এই টিভি লাগানো আমাদের লজ্জায় মাথা হেঁট হচ্ছে। অধ্যক্ষ সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে সিসিটিভির বিষয়টিকে সামনে এনে রাজ্যের কাছে কলেজকে বদনাম করছেন। পাশাপাশি সহকারী অধ্যাপক অধ্যাপিকাদের সম্মানহানি করছেন।’
advertisement
আরও পড়ুন-গদগদ প্রেম ভেঙে চুরমার! অর্জুনের সঙ্গে বিচ্ছেদের গুঞ্জনে রহস্যময় পোস্ট মালাইকার
আরও পড়ুন-উচ্চ কোলেস্টেরলের যম এই ফল, রোজ সকালে ২ করে খেলেই কমবে স্ট্রোকের ঝুঁকি, ওষুধের চেয়েও বেশি কার্যকরী
কলেজের অধ্যাপিকা সুদীপ্তা হালদার মাইতি বলেন, ‘সিসিএল এর নিয়ম ভঙ্গ করার জন্য আমি ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছি। পাশাপাশি তিনি মানসিক নির্যাতনের মাত্রা এতই বাড়িয়েছেন যে যার জন্য আমাকে মানসিক ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা করাতে হচ্ছে।’ এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরাও। প্রথম বর্ষের ছাত্রী শর্মিলা বিশ্বাস বলেন, ‘সিসিটিভির পক্ষে আমরা। কিন্তু টয়লেটের সামনে কেন সিসিটিভি লাগানো হল? মহিলা টিচার্স ওয়াশ রুমের সামনে কেন সিসিটিভি লাগানো হল? সেখান থেকে তিনি বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে মজা নিচ্ছেন অধ্যক্ষ! শৌচালয় থেকে বেরিয়ে জামা কাপড় ঠিক করতে গেলে আমাদের সম্মানহানি হচ্ছে। তাই আজকে আমরা বলতে বাধ্য হচ্ছি।’ কলেজের অধ্যাপকরা ইতিমধ্যে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কাছে অভিযোগের চিঠি দিয়েছেন। শুক্রবার কলেজের অধ্যক্ষ কলেজে উপস্থিত ছিলেন না পাশাপাশি তাকে একাধিকবার ফোনের যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
জুলফিকার মোল্যা