খবর দেওয়া হয় নিউ ব্যারাকপুর থানায়। ডুবুরি নিয়ে এসে উদ্ধার কার্যে নামানো হয়। ঘটনাস্থলে হাজির হয় ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের পদস্থ কর্তারাও। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পাঁচ বন্ধু মিলে ঝিলে সাঁতার কাটতে নামে তারা। সাঁতার কেটে ঝিলের এপার ওপার করে। কিন্তু তারপর থেকেই একজনের আর খোঁজ মিলছে না।
আরও পড়ুন - মধ্যমগ্রামে দুই প্রজন্ম ধরে চলছে এই চপের দোকান, সন্ধ্যা হলেই উপচে পড়ে ভিড়
advertisement
আরও পড়ুন - ডায়মন্ডহারবারে এখনও মেলে ২২ টাকায় মাংস ভাত, ২১ টাকায় মাছ ভাত ও সবজি ভাত ১৭ টাকায়
ওই যুবকের বাড়ি লেনিনগড় যোগেন্দ্রনগর এলাকায় বলে জানাযায়। কার্তিকের পরিবারের সদস্যরা ছেলেকে খুঁজে না পাওয়ায় কান্নায় ভেঙে পরেন। ডুবুরি নামিয়ে দীর্ঘ খোঁজাখুঁজির পর কোনো খোঁজ না মেলায় সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করে। আদেও কি কার্তিক জলের মধ্যে আছে? নাকি এর পিছনে অন্য কোন ঘটনা আছে! এরপরই, পাঁচ বন্ধুর মধ্যে বাকি চার জনকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে, সাঁতার জানেনা বলে থার্মোকল নিয়ে সাঁতার কাটতে নেমেছিল তারা। বাকি চারজন ধার্মোকলের সাহায্যে পার হতে পারলেও কার্তিকের থার্মোকল ঝিলের মাঝখানে গিয়ে ভেঙে যায়, তার পরেই ঘটে বিপত্তি।
ডুবুরি দমকলের পাশাপাশি খবর দেওয়া হয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলকেও। ঝিলের মধ্যে জাল ফেলে এরপর চলে খোঁজার প্রক্রিয়া। অবশেষে প্রায় ১০ ঘন্টা অতিক্রম করার পর ভোররাতে ঝিল থেকে উদ্ধার হয় কার্তিকের নিথর দেহ। এরপর পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বারাসত হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনায় এলাকায় তৈরি হয়েছে শোকের ছায়া।
রুদ্র নারায়ন রায়






