টাকির ইছামতি পাড়ে বেড়াতে গেলেই দেখা যাবে ইঞ্জিন চালিত বোটের ঘাট থেকে কিছুটা দূরেই আছে দাঁড় টানা নৌকার ঘাট। এই নৌকার মাঝিরা নিজেদের চেষ্টায় গাঁটের পয়সা খরচ করে নদী থেকে ওঠানামার ঘাট তৈরি করেছেন। কিন্তু প্রশাসনের থেকে কোনও সাহায্য পাননি বলে তাঁদের অভিযোগ। তাঁরা জানান, বহু বছর আগে তাঁদের পূর্বপুরুষরা ইছামতিতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের এই দাঁড় টানা নৌকায় করেই মাছরাঙা দ্বীপ, মিনি সুন্দরবন সহ একাধিক জায়গায় ভ্রমন করাতেন।
advertisement
আরও পড়ুন: শুরুর পেটমোটা রাস্তা ভেতরে গিয়ে গলার মত সরু!
কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এসেছে ইঞ্জিন চালিত বোট। এখন তাদেরই রমরমা। তবু নিজেদের জীবিকার প্রতিদিন ঘাটে আসেন নৌকার মাঝিরা। সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় পুরসভা থেকে বিশেষ অনুমতিও নিতে হয়েছে। তাঁদের দাবি, শহরে একঘেয়েমি কর্মব্যস্ত জীবন থেকে একটু বেরিয়ে দু'দিনের ছুটি কাটাতে যে সকল পর্যটকেরা টাকিতে আসেন তাঁদের একমাত্র ভরসা দাঁড় টানা নৌকা। কারণ ইঞ্জিন চালিত বোটের আওয়াজ অনেকেরই পছন্দ নয়। এই অবস্থায় নিজেদের পুরনো মাঝি বলে দাবি করে তাঁরা জানান, "ইঞ্জিন চালিত বোটের যেমন পাকা কংক্রিটের ঘাট আছে, ঠিক তেমনই যদি আমাদের কংক্রিটের ঘাটের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় তাহলে আকর্ষণ আরও বাড়বে।" তাতে তাঁদের রুটি রুজির সুব্যবস্থা হবে বলেও জানান। এই বিষয়ে নৌকার মাঝি সঞ্জয় মণ্ডল বলেন, "শীতের সময় তেমনভাবে মাছ ধরা যায় না নদীতে। তাই সংসার চালাতে পর্যটকদের নৌকায় বসিয়ে দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ করিয়ে বেশকিছু রোজগার হয় আমাদের। এই ঘাটেই এখনও পর্যন্ত ১০ থেকে ১৫ টা নৌকা চলাচল করে। খুব কম খরচেই পর্যটকদের ভ্রমণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।"
জুলফিকার আলি মোল্লা