এলাকার কয়েকটি গাছ নিয়ে এই পাখিদের ঘরবাড়ি। দেখলে যে কেউ অবাক হয়ে যাবে। গাছগুলোর যেন পাতা নেই, পুরোটাই শুধু পাখি আর পাখি! গোটা গাছজুড়ে যেন সাদা দেশি বকের মেলা বসেছে। লক্ষ লক্ষ বক বললেও ভুল হবে না। সারাদিন এরা কোথায় থাকে তার খোঁজ দোগাছিয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের কেউই জানে না। কিন্তু ঘড়ির কাঁটা ধরে বিকেল পাঁচটার পর থেকে তারা আবার ঘরে ফেরা শুরু করে। বকের সঙ্গে শালিক, মাছরাঙা সহ আরও বেশ কিছু দেশি পাখি আছে।
advertisement
আরও পড়ুন: পথ দুর্ঘটনা কমানো নয়, তা শূন্যে নিয়ে যাওয়াই লক্ষ্য পুলিশের
এই গ্রামে গেলে ভোর আর সন্ধেয় পাখির কিচিরমিচির শব্দ শুনতে পাবেনই। এমনকি এই শব্দ বহু দূর থেকেও শোনা যায়। বহু বছর ধরে এইভাবে সাদা বকদের রাতের আস্থানা এই দোগাছিয়া পশ্চিমপাড়া প্রাইমারি স্কুলের পাশের কয়েকটি গাছ। গ্রামবাসীরা জানান, গ্রামের সকল মানুষ সকালে পাখির দলের ডাকেই ঘুম থেকে জেগে ওঠে। ভোর চারটের আজান শেষ হলেই শুরু হয় তাদের কিচিরমিচির শব্দ, যে আওয়াজ গ্রামজুড়ে শোনা যায়।
বকের উৎপাতে আশপাশের পুকুরে মাছ চাষ বন্ধ হয়েছে। তবুও ওদের যাতে কোনরকম অসুবিধা না হয় বা কেউ ওদের না মারে তার জন্য ২৪ ঘন্টা পাহারায় থাকেন গ্রামের বাসিন্দারাই। এই পাখির দলের সঙ্গে তাঁরা যেন এক অনুচ্চারিত ভালোবাসায় জড়িয়ে পড়েছেন। রোজই প্রচুর মানুষ আসেন বক সহ নানান পাখির ছবি তুলতে। কিন্তু পাখিদের যাতে অসুবিধা না হয় সেইদিকে গ্রামবাসীদের সদা সতর্ক দৃষ্টি থাকে। এই গ্রামে পাখি ও মানুষের সহবস্থান বর্তমান সময়ে পরিবেশ রক্ষার এক উল্লেখযোগ্য বার্তা তুলে ধরছে বলে মনে করছেন অনেকেই।
রুদ্রনারায়ণ রায়