আরও পড়ুন: টেবিল টেনিস খেলায় নতুন দিশা দেখাচ্ছে অশোকনগর, নিয়ম করে চলছে প্রশিক্ষণ
রাজ্যের একাধিক স্কুলে যখন শিক্ষক-শিক্ষিকার অভাবের পাশাপাশি কখনো কখনো স্কুলের প্যালেস্তারা খসে পড়া, সহ একাধিক দুরবস্থার কথা সামনে এসেছে। ঠিক সেসময় যেন পথ দেখাল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটের বেলের ধান্যকুড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৯০০, আর স্কুলের পরিকাঠামো রীতিমত টক্কর দেবে যে কোনও বেসরকারি হাইটেক স্কুলকেও। স্কুলের প্রধান শিক্ষক, সহ শিক্ষক সহ পরিচলন সমিতির উদ্যোগে স্কুলেকে রীতিমতো আধুনিক পরিকাঠামো পদ্ধতিতে তৈরি করা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: মানুষের সুবিধার্থে এগিয়ে এল পঞ্চায়েত, সন্দেশখালিতে চালু নতুন ভবন
স্কুলে ঢুকে ক্লাসরুমে প্রবেশ ও ছুটির সময় ডিজিটাল পরিচয় পত্র মেশিনের দাঁড়ালে মুখ ও চোখের স্ক্যান কিংবা বায়োমেট্রিক মেশিনে আঙুলের ছাপের মাধ্যমে উপস্থিত গ্রহণ করা হয়। স্কুলের এই উদ্যোগে খুশি স্কুলের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাশাপাশি অভিভাবকরাও। শুধু ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্স মেশিন নয়, এই স্কুল আর পাঁচটা সাধারণ সরকারি স্কুলের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে।
পুরো স্কুল চত্বর সিসিটিভি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হয়েছে, ইতিমধ্যেই স্কুলে চালু হয়েছে মাল্টি জিম, ছাত্রছাত্রীদের সৃজনশীন বিজ্ঞান বিকাশের জন্য তৈরি হয়েছে বিজ্ঞান পরীক্ষাগার। স্কুলের সমস্ত দেওয়াল, কংক্রিটের স্তম্ভগুলিকে একাধিক শিক্ষাণীয় বিষয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। সব মিলে প্রত্যন্ত এলাকার গ্রামের স্কুলই যেন এবার পথ দেখাচ্ছে অন্যদের।
জুলফিকার মোল্যা