আরও পড়ুনঃ ৪৪ বছর কেউ ছুঁতে পারেনি কাশ্মীরের এই শৃঙ্গকে! অবশেষে ধরা দিল বাংলার পর্বতারোহীকে
বছর ৪২ এর সমর রায়। বনগাঁ থানার গাড়াপোতা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ভরতপুরের বাসিন্দা৷ গত জুন মাসে বাড়ি থেকে দুবাইয়ের উদ্দেশেরওনা দেন৷ তার সঙ্গে গ্রামের আরও এক যুবক পরিতোষ বিশ্বাসও যান দুবাইতে কাজের জন্য৷ জানা গিয়েছে, দত্তপুলিয়ার এক দালালের মাধ্যমে লক্ষাধিক টাকা ব্যয় করে তারা দুবাইয়ের কাজেগিয়েই পড়েন বিপদে। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, তাদের কার্পেন্টারের কাজ দেয়ার কথা বলা হয়েছিল কোম্পানিতে৷ কিন্তু তারা দুবাইতে পৌঁছে দেখেন তাদের জন্য কোন কাজের ব্যবস্থাই নেই৷ যে কোম্পানির কথা বলা হয়েছিল সেই নামে কোন কোম্পানি নেই৷ এমনকি, টুরিস্ট ভিসা করে তাদের দুবাইতে নিয়ে যাওয়া হয়।
advertisement
এরকম তাঁদের সঙ্গে বাগদা হেলেঞ্চারও একাধিক ব্যক্তিকে নিয়ে যায় ওই দালাল বলে অভিযোগ ৷ তাঁদের কাছে ফিরে আসার টাকা নেই, খাওয়াও জুটছে না বলে জানান ভিন দেশে আটকে থাকা জেলার এই যুবকেরা। প্রশাসনের কাছে স্বামীকে বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়ায় কাতর আবেদন জানিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁর স্ত্রী মনিকা রায় ৷
অপরদিকে, পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া-সহ বিভিন্ন জেলার আটক বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের দাবি, নদীয়ার এজেন্ট নাজমুল ধাবক ও আরিফ খান তাঁদের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা নেয় দুবাই তে কাজ দেবে বলে। গত প্রায় একমাস আগে তাঁদের দুবাইতে নিয়ে গিয়ে একটি হোটেলে রেখে পাসপোর্ট কেড়ে নেয়। কাজ দেয়নি বলেও অভিযোগ।
বাগদা থানার চৌরিগাছি পুরুলিয়া এলাকার তিনজন ও দুজনের বাড়ি দেগঙ্গার কলসুর এলাকায়, সম্পর্কে তাঁরা দুই ভাই বলেও জানা গিয়েছে। বর্তমানে উৎকণ্ঠা আর দুশ্চিন্তায় আটকে যাওয়া ব্যক্তিদের পরিবার পরিজনেরা। এই পরিস্থিতিতে কবে সুস্থ শরীর ফিরে আসতে পারবেন দুবাইয়ে আটকে পড়া রাজ্যের এই বাসিন্দারা, তা বুঝে উঠতে পারছেন না অসহায় পরিবারের সদস্যরা।
Rudra Narayan Roy