তিনি পৌঁছানোর আগেই ঠাকুরবাড়িতে তৈরি হয় উত্তেজনা। উপস্থিত একাংশের মতুয়াভক্তরা কালো পতাকা হাতে নিয়ে অভিষেককে মন্দিরে ঢুকতে না দেওয়ার হুমকি দেন। এরপর, শান্তনু ঠাকুর মন্দিরের গেট বন্ধ করে দেন, এমনকি ভেঙে দেওয়া হয় শাসক দলের তরফে লাগানো তোরণও।
আরও পড়ুন: করমণ্ডল দুর্ঘটনায় বিরাট মোড়! CBI-এর জালে ৩! নিয়ে যাওয়া হল অজ্ঞাত স্থানে
advertisement
যেহেতু মূল মন্দিরের গেট বন্ধ করে দেওয়াকে কেন্দ্র করে ঠাকুরবাড়ি চত্ত্বরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়, তাই জেলার শাসকদলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বড়মা বীনাপানি ঠাকুরের ঘরের সামনের মন্দিরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুজো দেওয়ার ব্যবস্থা করে পুলিশ। চরম উত্তেজনার মাঝেই এরপর ঠাকুরবাড়িতে আসেন অভিষেক। দ্বিতীয় মন্দিরে পুজো দিয়ে তিনি যান বড়মার ঘরে। বড়মার মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানান। বাইরে বেরিয়ে এদিনের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন অভিষেক।
আরও পড়ুন: উত্তম-সুচিত্রার সঙ্গে জুড়ে গেল অভিষেকের নাম! গাইঘাটায় ঘটলটা কী!
ঠাকুরবাড়ির মাঠে শুরু হওয়া সংঘাতের রেশ অবশেষে গড়াল হাসপাতাল পর্যন্ত। শুধু তাই নয়, জখমদের হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে সেখানেও হাতাহাতিতে জড়াতে দেখা যায় শাসক বিরোধীদের। এমনকি, মারধর করা হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর সহ বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়াও বলে অভিযোগ ওঠে। তবে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে ক্ষিপ্তভাবে কটু কথা বলতে ও শোনা যায় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ও তার নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে। হাসপাতাল থেকেও বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। অন্য দিকে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে বেশ কয়েক জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সব মিলিয়ে শাসক বিরোধী রেষারেষিতে উত্তপ্ত থাকল ঠাকুরনগর এলাকা।
——Rudra Narayan Roy





