স্থানীয় সূত্রে খবর, চাঁদপাড়া মণ্ডলপাড়া কালীতলার বাসিন্দা বছর ৬৩-র সন্তোষ বিশ্বাসকে পরিবারের লোকেরা পায়ে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি করেন গাইঘাটা থানার চাঁদপাড়ায় শিবাঙ্গী হাসপাতালে। এটি একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে। পরিবার সূত্রে খবর, পাঁচ দিনের একটি প্যাকেজে সন্তোষ বাবুকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় চিকিৎসকের পরামর্শে। পাশাপাশি বলা হয়, কলকাতার একজন ডাক্তার দেখবেন রোগীকে। সেইমতো হাসপাতালে ভর্তি হয়ে শুরু হয় চিকিৎসা। পরিবারের সদস্যদের দাবি, এদিন রাতে হঠাৎই নার্সিং হোমের পক্ষ থেকে পরিবারের কাছে ফোনে যায়। বলাহয় রোগীকে একটি ইঞ্জেকশন দেওয়ার হবে, তার জন্য ২৫০০ টাকা প্রয়োজন। কিছু সময় পর আরও একটি ইঞ্জেকশনের কথা জানানো হয় রোগী আত্মীয়দের।
advertisement
পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচার করে দ্রুত নার্সিংহোমে চলে আসেন রোগীর আত্মীয় পরিজনেরা। হাসপাতালে এসে দেখেন তাদের রোগী মারা গিয়েছে। রাতে মৃতই ওই রোগীর আত্মীয় পরিজনদের নাসিং হোমে ঢুকতেও বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি, যে ডাক্তারের কথা শুনে তারা রোগীকে ভর্তি করিয়েছিলেন সেই ডাক্তার তাদের রোগী কে একদিনও দেখেননি বলেও জানান পরিবারের সদস্যরা। ফলে অভিযোগ উঠছে, ভুল চিকিৎসার জন্যই মৃত্যু হয়েছে ওই রোগীর। তদন্তের আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত নার্সিংহোম থেকে মৃতদেহ পরিবার নেবেন না বলেও জানান। এরপরই, বিষয়টি নিয়ে রোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে গাইঘাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে, গোটা ঘটনার তদন্ত নেমেছে গাইঘাটা থানার পুলিশ বলেই জানা গিয়েছে।
রুদ্র নারায়ণ রায়