ভোটের দিন সকাল থেকেই বনগাঁর ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি করতে দেখা যায় তৃণমূল নেতা নান্টু ঘোষ ও তাঁর দলবলকে। বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়ার অভিযোগ, সকাল থেকে ছয় টি বুথ দখল করে, বিজেপির এজেন্টদের বন্দুক দেখিয়ে বের করে দেওয়া হয়। এরপর, নান্টু ঘোষ ও তাঁর দলবল বুথে ঢুকে ভোট লুঠ করে বলেও অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে পৌছায় বনগাঁর দুই বিধায়ক। বাধা দিতে গেলে বনগাঁর দক্ষিণের বিধায়ক স্বপন মজুমদার ও তাঁর দেহ রক্ষীকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। এর প্রতিবাদে বনগাঁর বাটারমোড় অবরোধ করা হয়। তাঁদের দাবি, কেন্দ্রীয় বাহিনীদের দিয়ে ভোট পুনরায় করতে হবে।
advertisement
অন্য দিকে, তৃণমূলের এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে পথে নামে সিপিএমও। তাঁদের দাবি, পুলিশকে কাজে লাগিয়ে ভোট লুঠ করছে তৃণমূল। বিজেপি নেতা শোভন বৈদ্য জানান, তৃণমূলের পায়ের তলায় মাটি নেই। রাজ্যের নেতা মন্ত্রীরা যে ভাবে একেরপর এক দুর্নীতির দায়ে জেলে ঢুকছে তাতে সাধারণ মানুষের কাছে ভোট পাবে না। চুরির দায় কিছুটা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য মরিয়া তৃণমূল। আর সেই কারণেই মানুষের গণতন্ত্রকে হত্যা করছে সমাজ বিরোধীরা। যদিও এই বিষয় নিয়ে তৃণমূলের কোন বক্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি।
(রুদ্র নারায়ন রায়)