ভবঘুরের উত্তর থেকে জানা যায়, আমি আমার মেয়ের বাড়ি এসেছিলাম ব্যারাকপুর শাখা পট্টিরপাশে । তারপর সেখানে অসুস্থ হওয়ার পর আমায় হাসপাতালে ভর্তি করে। আর কোন খোঁজ নেয়নি কেউ। আমি বেওয়ারিশ হয়ে হাসপাতালে ছিলাম। তারপর হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে সব পথ ভুলে যাই। তারপর থেকে এভাবেই কাটছে বলে জানান ওই ভবঘুরে। শিক্ষক ফজলুর রহমান জানতে চায়, আপনিকি বাড়ি যেতে চান? কোন সাহায্যের প্রয়োজন ? টাকা দিতে গেলেও, বলেন না কোন টাকা পয়সা লাগবে না। বাড়িতেও আর ফিরতে চান না তিনি।
advertisement
আরও পড়ুনঃ সপরিবারে দত্তপুকুর থেকে ইতালি যাচ্ছে মা দুর্গা
কিছু খাবেন কিনা জিজ্ঞাসা করতে উত্তর বৃদ্ধ জানান, না আমি অনেক খেয়েছি, আমার এই মুহুর্তে আর খাবারের প্রয়োজন নেই। কথা বলতে বলতেই অসুস্থতার কারণে শুয়ে পড়েন ভবঘুরে। অবশেষে স্থানীয় শিক্ষকদের সহযোগিতায় বারাসত থানায় খবর দেওয়া হয়। বারাসত থানার কর্তব্যরত অফিসার গোটা বিষয়টি শোনেন, তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তাকে আগে চিকিৎসা করাতে হবে। সেইমত বারাসত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ রেললাইনে যুক্ত হবে মছলন্দপুর থেকে স্বরূপনগর
ভবঘুরে তার নাম পুলিশকেও জানিয়েছেন নুর ইসলাম বলে। তবে, মেয়ের নাম বলতে পারেনি। জামাইয়ের নাম বলেছেন আবদুর সামাদ। ব্যারাকপুর শাখা পট্টির কাছে থাকে এবং জামাই সরকারি চাকরি করেন। বিষয়টি জানার পর থেকেই পুলিশ খোঁজখবর শুরু করেছে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার। মানবিক শিক্ষক ফজলুর রহমান মন্ডল এখন চান, প্রশাসন ও মিডিয়ার সাহায্যে যেন নিজের বাড়িতে ফিরে যেতে পারেন এই বৃদ্ধ। শিক্ষক হয়ে একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের পাশে দাঁড়াতে পেরেও খুশি তিনি।
Rudra Narayan Roy