না, দিল্লি পুরনির্বাচনে কোনও জাদু দেখাতে পারেনি কংগ্রেস। কিন্তু, রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গের ডাকা বিরোধীদের বৈঠকে দেখা গেল দুই দলকে। এক, আম আদমি পার্টি এবং দুই, তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: মন্দার আঁচ আরও তীব্র, এবার কয়েকশো কর্মী ছাঁটাই করতে চলেছে পেপসিকো!
আরও পড়ুন: এবার এটিএম থেকে বেরোবে সোনা, দেখে নিন কোথায় খুলল দেশের প্রথম গোল্ড এটিএম
advertisement
আজ থেকেই শুরু হয়েছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। অধিবেশন চলাকালীন বিরোধীদের কৌশল কী হবে, কোন কোন বিষয়ে একত্রে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যেতে পারে, এমন নানা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে বুধবার নয়াদিল্লিতে একটি বৈঠক ডেকেছিলেন কংগ্রেসের নব নির্বাচিত সভাপতি তথা রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে। বৈঠকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন সমমনস্ক বিরোধী দলগুলিকে।
এদিন খাড়্গের ডাকা বৈঠকে আপ এবং তৃণমূলের প্রতিনিধি ছাড়াও যোগ দিয়েছিলেন ডিএমকে, আরজেডি, এনসিপি, ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং বাম দলগুলির প্রতিনিধিরা।
বৈঠক শেষে ছবি ট্যুইট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টও করেন খাড়্গে। লেখান, "প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, সংসদের আলোচনায় বিরোধীরা আরও বেশি সুযোগ পাবেন। আমরাও সরকারের কাছে সেরকমই আশা করছি।" চলতি অধিবেশনে পেশ করা হতে পারে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিল। ট্যুইটে সেই কথাও উল্লেখ করেন খাড়্গে।
তবে, আপ এবং তৃণমূলের খাড়্গের এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার বিষয়টি অবাক করেছে বহু রাজনীতির কারবারিকে। সাম্প্রতিক অতীত ঘাঁটলে দেখা গিয়েছে, কংগ্রেসের সঙ্গ পারতপক্ষে এড়িয়েই চলেছেন মমতা। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিজেপি বিরোধী মুখ কে হতে পারে, তা নিয়ে প্রকাশ্যে না হলেও টানাপড়েনে জড়িয়েছে দুই দল। তৃতীয় ফ্রন্ট তৈরির ক্ষেত্রেও কংগ্রেসের তেমন আগ্রহ চোখে পড়েনি।
তার উপরে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লক্ষ্য করে কংগ্রেসের লোকসভা সাংসদ অধীর চৌধুরীর একের পর এক মন্তব্যও কংগ্রেস-তৃণমূল দূরত্বের অন্যতম কারণ বলে মনে করে বিশেষজ্ঞ মহল।
গত ২৯ নভেম্বর শীতকালীন অধিবেশন পূর্ববর্তী পর্যায়ে বিরোধীদের নিয়ে আরও একটি বৈঠক ডেকেছিলেন মল্লিকার্জুন খাড়্গে। কিন্তু, সেই বৈঠকে যোগ দেয়নি তৃণমূল। এমনকি, এর আগে বাদল অধিবেশনের সময়েও এই ধরনের বৈঠক এড়িয়ে গিয়েছে তৃণমূল।
বর্তমানে দিল্লি সফরে রয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই অবস্থায়, খাড়্গের এদিনের ডাকা বৈঠকে তৃণমূলের উপস্থিতি, নিঃসন্দেহে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।