হাইড্রোজেন চালিত ট্রেন পরিষেবা আগেই শুরু করেছে চিন। চিনের 'সিআরআরসি কর্পোরেশন লিমিটেড' সম্প্রতি 'হাইড্রোজেন আরবান ট্রেন' চালু করেছে। যা এশিয়ার প্রথম এবং বিশ্বের দ্বিতীয় এই ধরনের ট্রেন। তারও কয়েক মাস আগেই জার্মানিতে প্রথম হাইড্রোজেন চালিত 'সবুজ ট্রেন' চালু করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন- মধ্যবিত্তদের সুরাহা হলেও অর্থনীতির জন্য কতটা লাভজনক? বাজেট দেখে শিল্পপতিরা যা বলছেন...
advertisement
রেল মন্ত্রকের পক্ষ থেকে আগেই আভাস পাওয়া গিয়েছিল যে, ২০২৩ সালে হাইড্রোজেন ট্রেনের চাকা গড়াবে। এই ট্রেন কেমন, এর গতি কত কিংবা এটিতে কতগুলি বগি রয়েছে, তা নিয়ে মানুষের মধ্যে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। চলতি বছরে কালকা-সিমলা রুটে প্রথম এই ট্রেন চলবে। এর আগে শোনপথের ট্রায়াল রান হতে পারে।
আরও পড়ুন- নয়ডা মেট্রোয় মঞ্জুলিকা-আতঙ্ক! জানুন ভাইরাল ভিডিও-র আড়ালে লুকিয়ে থাকা রহস্যটা
হাইড্রোজেন ট্রেন অন্যান্য ট্রেনের মতো বড় হবে না। বগির সংখ্যা হবে বড় জোর ছয় থেকে আটটি। ঘণ্টায় এই ট্রেন দৌড়বে সর্বাধিক ১৪০ কিলোমিটার বেগে। এক্ষেত্রে খরচ বাঁচবে আবার পরিবেশ দূষণ রোধ হবে। সমুদ্রের জল থেকে সহজেই তৈরি করা যাবে হাইড্রোজেন, যার জোগান অফুরন্ত। যেখান থেকে কোন দূষিত গ্যাস নয়, শুধু মাত্র বের হয় জল আর বাষ্প। হাইড্রোজেন ট্রেনের ট্যাঙ্ক যদি সম্পূর্ণ ভর্তি থাকে, তাহলে তা ১,০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত যাত্রা করতে পারে।
শুধুমাত্র ট্রেন তৈরি নয়, ট্র্যাক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম নিয়েও ভারত কাজ করছে। যাতে সেমি হাইস্পিড ট্রেনগুলি সহজেই চলতে পারে। জার্মানিতে প্রায় ১৪টি হাইড্রোজেন ট্রেন রয়েছে। যার কারণে প্রতি বছর দেশটির প্রায় ১৬ লক্ষ লিটার ডিজেল বেঁচে যায় বলে জানা গিয়েছে। জার্মানির হাইড্রোজেন ট্রেনগুলির গতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৪০ কিলোমিটার।
