পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ফরিদাবাদের বল্লভগড় বাইপাস রোডের তিগাঁও ব্রিজের কাছে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। ওই এলাকায় রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ চলার কারণে পথচারী এবং যাত্রীদের সরু ও খারাপ রাস্তা ব্যবহার করতে হচ্ছে। এই পথেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেলসহ নিকাশিতে পড়ে যায় গোটা পরিবার।
ধুলো পড়ে ‘বেহাল’ সিলিং ফ্যান? ‘মই’ ছাড়াই এই উপায়ে ৫ মিনিটে পরিষ্কার করুন…ঝড়ের মতো হাওয়া পাবেন!
advertisement
ওয়েটিং ‘টিকিট’? ট্রেনের সংরক্ষিত কামরায় উঠলে কী হতে পারে আপনার সঙ্গে? TT যা করতে পারে…জেনে নিন!
রাজীব কলোনির বাসিন্দা দতরম তাঁর স্ত্রী রজনী এবং তিন সন্তান – সাক্ষী (৮), মীনাক্ষী (৬) ও নিখিল (৪)-কে নিয়ে তিগাঁও থেকে এক বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। তিগাঁও ব্রিজের কাছে আসতেই খারাপ রাস্তার কারণে তিনি নিয়ন্ত্রণ হারান এবং পরিবারসহ নিকাশিতে পড়ে যান।
স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দতরম ও রজনীকে টেনে তুলতে সক্ষম হন। তাঁদের মেয়ে মীনাক্ষীকেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়। তবে অন্ধকার ও নিকাশির জলপ্রবাহের কারণে সাক্ষী ও নিখিল তলিয়ে যায়। পরে তাঁদের উদ্ধার করা হলেও ততক্ষণে মৃত্যু হয়। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
৭৮৫টি সিম কার্ড! নাম এক, কিন্তু পরিচয় আলাদা! কলকাতার দেবলীনা যা কাণ্ড ঘটাল, গোটা দেশ পুরো থ…!
দুর্ঘটনার পর এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। তাঁদের অভিযোগ, রাস্তা সংস্কারের কাজ চললেও সুরক্ষার কোনও ব্যবস্থা নেই। না রয়েছে ব্যারিকেড, না রয়েছে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, যা বিশেষ করে রাতে ওই রাস্তা আরও বিপজ্জনক করে তুলেছে।
পেলেও টয়লেটে যান না? অনেক ক্ষণ ধরে ‘প্রস্রাব’ চেপে রাখেন? জানেন কী হয় এতে…! শিউরে উঠবেন
পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং সংশ্লিষ্ট দফতরকে ঘটনাস্থলের রাস্তার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফরিদাবাদ পুলিশের সহকারী কমিশনার (অপরাধ) অমান যাদব বলেন, “রাস্তার কাজ চলার কারণে গাড়িচালকদের সরু ও বিপজ্জনক রাস্তা দিয়ে যেতে হচ্ছে। এই পথ ধরেই মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন দতরম, কিন্তু সংকীর্ণ রাস্তার কারণে তিনি নিয়ন্ত্রণ হারান এবং এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।”
এই দুর্ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এলাকাবাসীরা দ্রুত সুরক্ষাব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তুলেছেন, যাতে এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ভবিষ্যতে এড়ানো যায়।
