আরও পড়ুন: ৫২ বছর ধরে বাংলার বুকে আয়োজিত হচ্ছে ফুটবলের মিনি বিশ্বকাপ! কোথায় জানেন?
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা নতুন শাড়ি সেলাই করার আগে আগুনের ছ্যাঁকা দিতে যান। তখনই ঘটে দুর্ঘটনা। গোটা শাড়িতে আগুন ধরে যায়। ঘরে ফ্যান চলার কারণে দ্রুত গোটা শাড়িটি জ্বলে ওঠে। জ্বলন্ত শাড়ি ওই মহিলার গায়ে জড়িয়ে গিয়ে শরীরের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখানেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে মৃত্যু হয়।
advertisement
সোমবার মৃত কাজলরানি দাসের দেহ হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায় শান্তিপুর থানার পুলিশ। মৃতের ছেলে সুরজিৎ দাস জানান, তাঁর মা বরাবরই নানান সংস্কার মেনে চলেন। তা করতে গিয়েই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে গেল।
এই ঘটনা আরও একবার কুসংস্করের পরিণতি কী হতে পারে তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। গ্রামগঞ্জে আজও বহু মানুষ সাপে কাটলে হাসপাতালে না গিয়ে ওঝার কাছে ছুটে যায়। তার ফলে সঠিক সময় চিকিৎসা না হওয়ায় মৃত্যু হয় অনেকের। এটাও তেমনিই এক ঘটনা ছিল বলে জানিয়েছেন যুক্তিবাদী মানুষজন।
মৈনাক দেবনাথ