খুশির খবর এ বছর বাংলা থেকে , এই প্রথম দৃষ্টিহীন দুজন মহিলা ফুটবলার খেলার সুযোগ পাচ্ছেন। একজন পূর্ব মেদিনীপুর পাঁশকুড়া থানার সঙ্গীতা মেটিয়া, যিনি রাজ্য দলের অধিনায়িকা, অন্যজন কৃষ্ণনগরের প্রতিমা ঘোষ, দুজনেই অত্যন্ত অভাবী ঘরের দৃষ্টিহীন। যাদের দুজনের বাবাই ক্ষেতমজুর হওয়া সত্ত্বেও, নিজেদের প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে স্নাতক স্তরে পাঠরতা।
advertisement
তবে ২ চোখে অন্ধকার থাকলেও , স্বপ্ন পূরণ করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন সকাল থেকে রাত। ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য ব্লাইন্ড অফ বেঙ্গল ২০০৭ সালে , এ ধরনের ছেলেমেয়েদের নিয়ে জাতীয় আন্তর্জাতিক স্তরে খেলাধুলার জন্য এক প্রকার সহৃদয় মানুষদের কাছ থেকে সাহায্য চেয়ে নিয়ে তাদেরকে জায়গা করে দিতে চেষ্টা করছেন। কিন্তু নিজেদের মাঠ না থাকার কারণে কলকাতা রবীন্দ্রভারতীর মাঠে তাদের অনুমতির ভিত্তিতে মাঝেমধ্যে অনুশীলন করান।
ব্লাইন্ড ফুটবল অনুষ্ঠিত হয় ৪ জন সম্পূর্ণ দৃষ্টিহীন, একজন গোলকিপার অন্যজন সাইড গাইড তবে সেক্ষেত্রে আংশিক দৃষ্টিহীন হলেও চলে, এ বাদে ও তিনজন সম্পূর্ণ দৃষ্টিহীন অতিরিক্ত একজন গোলকিপার ফিজিওথেরাপিস্ট ডাক্তার কোচ নিয়ে মোট ১৫ জনের একটি টিম তৈরি করা হয়েছে। ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই ১৫জনের টিমের আগামী ২১ আগস্ট পর্যন্ত প্রায় এক মাসে থাকা খাওয়া বাবদ লক্ষ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। আর এই কারণেই ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত তো বটেই বাংলার বিভিন্ন গ্রাম শহর থেকে বিশেষভাবে সক্ষমদের প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও , উপযুক্ত অনুশীলন পরিবেশ এবং আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছানো সম্ভব হয় না।
যদিও বা এত শারীরিক আর্থিক এবং সামাজিক প্রতিবন্ধকতা ছাড়িয়ে কেউ যদি এই স্তরে পৌঁছয়, সে কথা সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রচার এবং প্রসার ঘটানো হয় না কোনওদিন এমনই অভিযোগ কর্তৃপক্ষের।
মৈনাক দেবনাথ