স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান রাত আটটার পর ফুল ব্যবসায়ীরা অবশিষ্ট ও ব্যবহৃত ফুল ও ফুলের মালা রাস্তার উপরেই ফেলে রাখেন। এবং সেই ফুল পচন ধরার ফলে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয় সংলগ্ন এলাকায়। এছাড়াও গরু ,বাছুর এসে সেই ফুল খেয়ে সেখানেই মল-মূত্র ত্যাগ করার ফলে অসুবিধায় পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। এ বিষয়ে স্থানীয় ১০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মনিকা চক্রবর্তী জানান, এর আগেও ফুল ব্যবসায়ীদেরকে অনুরোধ করা হয়েছে নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে তাদের ব্যবহৃত ফুল ফেলার জন্য, তবে সেই ডাস্টবিন ভর্তি হয়ে গেলে তারা বাধ্য হয়ে রাস্তায় ফেলেন। আমরা বিষয়টি ভেবে দেখছি, পরবর্তী সময়ে যথাযথভাবে এর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা তৈরীর অভিযোগ চাপড়ায়
ফুল একটি প্রয়োজনীয় উপাদান। ফুল দিয়ে একাধিক সুগন্ধি ও ঔষধপত্রও তৈরি করা হয়। আবার এই ফুল কাজে লাগে মন্দির, মসজিদ, গির্জাতেও। এছাড়াও কোনও অনুষ্ঠান বাড়িতে আমরা ফুলের তোড়া দিয়ে অব্যর্থনা জানাই। কোন বিশিষ্ট মানুষকে নিমন্ত্রিত করা হলেও ফুলের তোড়া দিয়ে তাকে অব্যর্থনা জানানো হয়। তবে এই ফুল ব্যবহার করা একবার হয়ে গেলে পরে বেশিরভাগ সময়েই সেই ফুলগুলি ফেলে দেওয়া হয় ডাস্টবিনে।
আরও পড়ুনঃ প্রাচীন ১৬ দলীয় লাঠিখেলার আয়োজন নাকাশিপাড়ায়
যদিও এই ফেলে দেওয়া ফুল দিয়ে একাধিক প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বর্তমানে তৈরি হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধি ধুপকাঠি থেকে শুরু করে আতর তৈরি হয় এই ফেলে দেওয়া ফুল থেকেই। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই সমস্ত অবশিষ্ট ফুল পৌঁছে আবর্জনা ও দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। যার ফলে নাজেহাল হতে হয় সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সকলকেই।
Mainak Debnath