লকডাউনের সময় বেশিরভাগ জায়গায় দেখা যাচ্ছিল অনলাইন ক্লাসে উপস্থিতির সংখ্যা কম। তার একটা কারণ হল অনেক গরিব ছেলে মেয়ের স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ না থাকায়, অনলাইন ক্লাস করতে না পারা। আবার কিছু পড়ুয়ার অনলাইনে ঠিকমতো পড়াশোনায় মনোনিবেশ করতে না পারা, তাছাড়াও অনেক পড়ুয়ার পরিবারে করোনার লকডাউনের জেরে আর্থিক সংকট দেখা দিয়েছে। এর ফলে অনেক ছাত্র-ছাত্রীই ক্লাস বন্ধ করে কাজে লেগে পড়েছে উপার্জনের জন্য। কেউ কেউ আবার পুরোপুরি পড়াশোনা ছেড়ে না দিলেও কাজে লেগে পড়ার ফলে, পড়াশোনায় মনযোগ দিতে পারেনি। স্কুল খোলার পরেও দেখা যায় একই চিত্র। অনলাইনে যারা ক্লাস করতে পারেনি, স্কুল খোলার পরে এখনও স্কুলে দেখা যাচ্ছে না তাদের।
advertisement
বেশিরভাগ স্কুলেই খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে স্কুল খোলার প্রথমদিকে উপস্থিতির হার বেশ খানিকটা হলেও এখন অনেকটাই নীচে নেমে গিয়েছে। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর অনেক পড়ুয়ারাই চলে গিয়েছে ভিন রাজ্যে কাজে, কেউবা লোকালয়েই কোনো দোকানে বা গ্যারেজে কাজে লেগে পড়েছে। বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা সেইসব ছেলেমেয়েদের খোঁজ নিয়ে তাদেরকে পুনরায় স্কুলে পঠন-পাঠনের জন্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন, বলে জানা গিয়েছে।
স্কুলে পড়ুয়াদের না আসার একটি বড় কারণ হচ্ছে অভাব। এই আর্থিক টানের জেরেই অনেকাংশে মোবাইল বা কম্পিউটারের অভাবে এই ছেলেমেয়েরা অনলাইনেও ক্লাস করতে পারেনি। লকডাউনে পরিবারকে সাহায্য করতেই অনেক পড়ুয়া কাজে লেগে পড়েছে। তবে বেশিরভাগ স্কুলেরই শিক্ষক-শিক্ষিকারা অভিভাবকদের বুঝিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সেই সব ছেলে মেয়েদের পুনরায় স্কুলে ফেরানোর।