আরও পড়ুন: বর্ধমান শহরে হচ্ছেটা কী! বিসি রোডের পর এবার চিন্তায় এই এলাকার ব্যবসায়ীরা
দিন কয়েক ধরে লাগাতার বৃষ্টিপাতের জেরে ধানের জমিতে জমেছে হাঁটু সমান জল। সেই কারণেই জমির পাকা ফসল ভিজে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হল ধান চাষিদের। শান্তিপুরের শুকদেব ঘোষ নামে এক ধান চাষি জানান, তাঁর বেশ কয়েক বিঘে ধান জমি সম্পূর্ণ জলের তলায় চলে গিয়েছে। ফলে কোনও ফসলই আর পাওয়া যাবে না বলে আশঙ্কা। শেষ চেষ্টা হিসেবে এক হাঁটু জল ভেঙে ৭-৮ জন মজুরকে কাজে লাগিয়ে সেই ভেজা ধান গাছ জমি থেকে নিয়ে আসা হয় রাস্তায়। এরপর সেগুলি ধান ঝাড়ার মেশিনে ঝাড়াই করার পর তোলা হয়েছে বস্তায়।
advertisement
তবে এখানেই হয়েছে সমস্যা। জমিতে জল না থাকলে রোদে শুকানোর পরে পাকা ধান নির্দিষ্ট সময়ে তুলে ঝাড়াই করে বস্তা বন্দি করা হয়। কিন্তু এই প্রবল বৃষ্টির ফলে ধান বস্তাবন্দি করতে খরচ অনেক বেড়ে গিয়েছে। মোটা টাকা দিয়ে শ্রমিক ভাড়া করতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ধান ঝাড়াই মেশিন পিছু প্রতি দিন ১৩০০ টাকা করে ভাড়া গুনতে হচ্ছে। শ্রমিকদের দৈনিক রোজ দিতে হচ্ছে ৩০০ টাকা করে। এই অবস্থায় অতিরিক্ত খরচের ধাক্কা সামলে আদৌ কোনও লাভ হবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে কৃষকরা।
মৈনাক দেবনাথ





