জানা যায় শোভাযাত্রা চলাকালীন কৃষ্ণনগর রাজবাড়ীর কাছে চৌরাস্তায় এক গলিতে বসে বেশ কিছু যুবক মদ্যপান করছিল। সেই মদ্যপ যুবকদের সঙ্গে বচসা বাঁধে ওই দমকল কর্মীর। এবং সেই বচসার জেরেই মদ্যপ ও যুবকরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে তুহিনকে। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়ে তুহিন। স্থানীয় বাসিন্দারা গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ভোররাতে শান্তিপুরে পরপর দুটি কালী মূর্তির গয়না চুরি!
স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে জানা যায়, মৃত ওই যুবক তুহিন ঘোষ দমকল বিভাগের কর্মী ছিলেন। পাড়ার প্রতিমা বিসর্জন দিতে বেরিয়ে ছিলেন বন্ধুদের সঙ্গে। দোষীদের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছে এলাকার বাসিন্দা। এই ঘটনার দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয় নি বলেই সূত্রের খবর। এ বিষয়ে নদিয়া উত্তর বিজেপি মিডিয়া কনভেনার সন্দীপ মজুমদার জানান, "পুলিশ প্রশাসন আজকে তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়েছে। নীরব দর্শকের ভূমিকায় আজকে পুলিশ প্রশাসন রয়েছে। সামনে কৃষ্ণনগরে বড় জগদ্ধাত্রী পুজো রয়েছে। সেই জগদ্ধাত্রী পূজাকে আরও সুষ্ঠুভাবে করার জন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে দাবী করব। এভাবে চলতে থাকলে আরও বড় কোনও গন্ডগোল করতে পারে।"
আরও পড়ুনঃ মদ খেয়ে গালিগালাজ! প্রতিবাদ করায় এলোপাথাড়ি কোপ যুবককে
কৃষ্ণনগর শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ দত্ত জানান, " আমি সকালবেলা উঠে জানতে পারি, সঙ্গে সঙ্গে আমি হাসপাতালে গিয়েছিলাম। তাদের কিছু পরিচিত লোকের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। শুনলাম এই ছেলেটি রাজ্য সরকারের কর্মচারী। জানিনা কি কারনে এই ছেলেটি খুন হলো, পাড়ায় ছেলেটার সম্পর্কে ধারণা সাধারণ মানুষের ভালো আমি যতটা শুনেছি। তবে আমি আশা করি পুলিশ এই খুনের কিনারা করবে। পুলিশ প্রশাসনের কাছে আমার অনুরোধ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই খুনের কিনারা করে কঠিন থেকে কঠিনতম সাজা যাতে খুনিরা পায় এবং মৃতের পরিবারবর্গকে আমি সমবেদনা জানাই। যে আগামী দিন কৃষ্ণনগর শহরে যাতে আর কোনরকম খুন খারাপি না হয়।"
Mainak Debnath