স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যে জমিতে ৩৩ বছর ধরে পুজো করে আসছে ক্লাব কর্তৃপক্ষরা সেই জমিটি সম্প্রতি নিজের বলে দাবি করছেন এক পরিবার। যদিও ওই পরিবারের দাবি ৬০ বছর আগে তিনি এই জমি কিনেছিলেন। তবে তাদের কাগজপত্র দেখানোর কোনও যৌক্তিকতা মনে করছেন না পরিবার, তাঁরা পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে নিশ্চয়ই দেখাবেন এমনটাই জানিয়েছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: পূর্ব বর্ধমানেও ডেঙ্গির থাবা! চিন্তার ভাঁজ প্রশাসনের কপালে
তবে পুজোয় বিরোধিতা করতে চাননা তারা। তবে ক্লাব কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন ওই জমিতে প্যান্ডেলের বাঁশ ফেলতে বাধা দিচ্ছে ওই পরিবার, সেই কারণে এ বছর আদৌ পুজো হবে কিনা সেই নিয়েই দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা। ইতিমধ্যেই ঠাকুর বানানোর বরাত এবং প্যান্ডেলের বরাত দেওয়া হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণী নদীতে ভেঙেছে বাঁধ! বাড়ছে বন্যার আশঙ্কা, আতঙ্কে এলাকাবাসী
মাসখানেক আর বাকি পুজোর ইতিমধ্যেই প্যান্ডেল তৈরি কাজ শুরু হয়েছে নানা জায়গায়। তবে জমি বিবাদের জেরে এখানে এখনও শুরু করা যায়নি প্যান্ডেল তৈরির কাজ। জমির মালিক হিসেবে যিনি দাবি করছেন তিনি সঠিক নথিপত্র দলিল ইত্যাদি স্থানীয় বাসিন্দা এবং ক্লাব কর্তৃপক্ষকে এখনও দেখাননি। স্থানীয় বাসিন্দা এবং ক্লাব কর্তৃপক্ষের দাবি প্রমাণ দেখালে ক্লাব জমি থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে। তার আগে তারাও তাদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকবেন।
ইতিমধ্যেই বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন বিডিও এবং জেলা শাসককে লিখিত আকারে তাঁরা জানিয়েছেন। উত্তরের অপেক্ষায় রয়েছেন সকলে। খুব শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান না করলে এবারের দুর্গাপুজো বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
Mainak Debnath