এবার বসন্ত সিংহ রায়ের সঙ্গেই বিশ্বের অষ্টম উচ্চতম শৃঙ্গ মানাসলু (৮১৬৩ মি:) পর্বতারোহনে বেরিয়ে পড়েন তিনি। সঙ্গে ছিলেন অসীম কুমার মন্ডল, রুম্পা দাস, সুব্রত ঘোষ, সুমিত্রা দেবনাথ। এদের মধ্যে পেশায় কেউ শিক্ষক, কেউবা পঞ্চায়েত কর্মী। মধ্যবিত্ত পরিবার থেকেই অতি কষ্টে উঠে এসে তারা পাড়ি দিয়েছেন নিজের স্বপ্নে। সঙ্গে ছিলেন তাদের পথপ্রদর্শক বসন্ত সিংহ রায়।
advertisement
প্রশান্ত বাবু জানান, মানাসলুতে ওঠার আগে তারা সর্বপ্রথম পৌঁছান বেস ক্যাম্পে। এরপরেও রয়েছে তিনটি ক্যাম্প। তারা ছয় জন পর্বতারোহী অতি দক্ষতার সাথে তারা ধীরে ধীরে এগিয়ে চলছিলেন পর্বতের চূড়ার দিকে। তবে দু'নম্বর ক্যাম্প থেকে তিন নম্বর ক্যাম্পে যাওয়ার পথে পড়েন তারা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে। প্রবল তুষারপাত ও তুষার ঝড়ের ফলে তাদের জিনিসপত্রের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়। তারা ফিরে আসেন আবারও বেস ক্যাম্পে।
আরও পড়ুন: হাই স্টেটাস! সোনার দোকানে কী কাণ্ডই না করলেন দুই মহিলা! ভাইরাল সিসিটিভি ফুটেজ!
জিনিসপত্র ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার ফলে বেস ক্যাম্প থেকে ঠিক হয় ছয় জনের জায়গায় যাওয়া হবে দুইজনের। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা প্রশান্ত বাবু এবং তার সঙ্গে যাবেন রানাঘাটের পর্বতারোহী রুম্পা দাস। শুরু হল আবার পর্বতারোহন। এবার তিন নম্বর ক্যাম্প পর্যন্ত যাওয়ার পর আবারও প্রবল প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েন তারা। এরপর জীবনের ঝুঁকি না নিয়ে রীতিমত বাধ্য হয়েই আবারও ফিরে আসতে হয় তাদের।
তবে তার এই অভিজ্ঞতা এভারেস্টের মত পর্বত চূড়ায় উঠতে গেলে অনেক কাজে লাগবে ভবিষ্যতে বলে জানান তিনি।
Mainak Debnath