অন্যান্য দিনের মত শুক্রবারও শান্তিপুর লাইনে ব্যাহত হয় রেল পরিষেবা। সকাল থেকেই বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে একের পর এক ট্রেন, ভোগান্তির শিকার হন নিত্যযাত্রী থেকে শুরু করে পরীক্ষার্থী সকলেই। দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা দেরিতে চলে প্রতিটি লোকাল ট্রেন। ফলে অফিস যাত্রীদের পাশাপাশি সবজি বিক্রেতা, পরীক্ষার্থী, রোগী সকলকেই নাজেহাল হতে হয়। বহু লেটে ট্রেন চালায় অসুস্থ রোগীরা আরো অসুস্থ হয়ে ট্রেনের কামরার মধ্যে শুয়ে পড়ছেন এমন দৃশ্যও দেখা গিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: সেতু তৈরির জন্য কাটা হয়েছে লাইন, জল না পেয়ে পথ অবরোধ গ্রামবাসীদের
নিত্যদিন এইভাবে দেরিতে ট্রেন চালায় অনেকের অনেক রকম ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। এই লাইনের অফিস যাত্রীদের লেট মার্ক প্রায় নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি কাজকর্মে ক্ষতি তো লেগেই আছে। বাধ্য হয়ে বাসে যাওয়ার চেষ্টা করছেন অনেকেই। কিন্তু রাস্তায় সরকারি ও বেসরকারি বাসের সংখ্যাও কম থাকায় বাসস্ট্যান্ডগুলিতে উপচে পড়ছে ভিড়। এদিকে ট্রেন ওদিকে বাস, গণপরিবহণের একটিও শান্তিপুর লাইনে সঠিকভাবে না চলায় অসহায় পরিস্থিতিতে পড়েছেন এখানকার মানুষ। কী করবেন তাঁরা ভেবে উঠতে পারছেন না। এখানকার সাধারণ মানুষের এই হয়রানি কবে দূর হবে তা নিয়ে রেলের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট কিছু জানানো হয়নি।
মৈনাক দেবনাথ