রানাঘাট হাসপাতাল সূত্রে খবর, শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ শান্তিপুরের এক মহিলা পেটে মারাত্মক যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি হন। জানা যায়, নির্ধারিত দিন পেরিয়ে আরও ১৫ দিন চলে গেলেও ওই মহিলার ঋতুস্রাব হয়নি। শান্তিপুর হাসপাতাল থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে রানাঘাট মহাকুমা হাসপাতালে আনা হয়েছিল।
এর পরই কর্তব্যরত চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নেন এখানেই ওই মহিলার অস্ত্রোপচার করবেন। কিন্তু অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে চিকিৎসকদের চোখ কপালে ওঠে। তাঁরা দেখেন ওই মহিলা অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। যদিও তাঁর ভ্রুণ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সেই কারণে পেটের ভিতর একাধিক জায়গায় রক্ত জমাট বেঁধে জটিল সমস্যা দেখা দিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: খড় ভর্তি চলন্ত ট্রাক জ্বলে উঠল! উল্টে যেতেই পুড়ে গেল পাশের দোকান
চিকিৎসাকরা বুঝতে পারেন, রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালের মত জায়গায় এই ধরনের অস্ত্রোপচার করা যথেষ্ট কঠিন। কিন্তু ওই রোগীকে সেই সময় কলকাতায় রেফার করাও সম্ভব ছিল না। ফলে সেখানেই মহিলার দু'হাতে চ্যানেল করে প্রায় তিন বোতল রক্ত দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে মৃত ভ্রুণকে বাইরে বের করে আনেন চিকিৎসকরা। বর্তমানে ওই রোগী সুস্থ ও স্বাভাবিক আছেন বলে জানিয়েছেন রানাঘাট মহাকুমা হাসপাতালের সুপার ড: প্রহ্লাদ অধিকারী।
সুপার বলেন, এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ একটি অপারেশন। একটু দেরি হয়ে গেলেই রোগীকে আমরা হয়ত বাঁচাতে পারতাম না। পরিকাঠামগত একাধিক অসুবিধা রয়েছে রানাঘাট মহাকুমা হাসপাতালে। চিকিৎসকের অভাবে বিকেল চারটের পর ইউএসজি হয় না এই হাসপাতালে। এছাড়াও অপারেশন ঘরে সিলিং লাইটের অভাব আছে। এই সমস্ত বাধা অতিক্রম করেই চিকিৎসকেরা সফল হয়েছেন ওই রোগীকে বাঁচাতে।
মৈনাক দেবনাথ