সরকারি দফতরের গাফিলতির জেরে চোখের সামনে হনুমানের মৃত্যু হওয়া ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি নদিয়ার শান্তিপুরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাইগাছি বিলপুকুর শনি মন্দির সংলগ্ন এলাকার। এলাকার প্রবীণ বাসিন্দা শান্তিরঞ্জন দেবনাথ বলেন, রবিবার দুপুর তিনটে নাগাদ একটি বাড়ির মধ্যে ঢুকে পড়ে হনুমানটি। কোথাও একটা আঘাত পেয়েছিল, তার সারা শরীর থেকে রক্ত ঝরছিল। ঘাড়ে, পিঠে এবং পায়ে কুকুর বা ওই জাতীয় অন্য কোনও প্রাণী কামড়ে দেয়। সেই ক্ষত দিয়ে ঝরছিল রক্ত। কিন্তু ইচ্ছে থাকলেও তার চিকিৎসা করা সম্ভব হয়নি। কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ওই বৃদ্ধ বলেন, মতিগঞ্জ পশু হাসপাতাল বন্ধ। তাই হনুমানটিকে উদ্ধার করার জন্য বন দফতরের বিভিন্ন নম্বরে টানা ফোন করা হয়। কখনও অসুস্থ হনুমানের কথা শুনে কেটে দেওয়া হয়, আবার কখনো ফোন ধরেনি। শেষে বিট অফিসারের নম্বর পেয়ে রাত আটটা থেকে নটা এই এক ঘণ্টা টানা তাঁকে ফোন করা হয়। বৃদ্ধের অভিযোগ, বিট অফিসার দু-একবার ফোন রিসিভ করলেও নেটওয়ার্কের দোহাই দিয়ে কেটে দিয়েছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: আদিবাসী সংগঠনের ডাকা বন্ধের প্রভাব পড়ল না ঝালদায়
যদিও হনুমানের মৃত্যুর ঘটনা ও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে পরে বিট অফিসার বলেন, রবিবার থাকায় অফিসে হয়ত তেমন কেউ ছিল না। তাই ল্যান্ডফোন বেজে গেলেও কেউ ধরতে পারেনি! তবে নেটওয়ার্ক খারাপ থাকার জন্য আমার ফোনে দুটি কল এসেছিল, কিন্তু শোনার আগেই তা কেটে যাচ্ছিল।
যদিও বিট অফিসারের যুক্তি শুনে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন সামনে উঠে এসেছে। রবিবারে কোনও প্রাণী অসুস্থ হলে তবে কি তার চিকিৎসা হবে না?
মৈনাক দেবনাথ