আরও পড়ুন Profitable Business: অ্যাপিকালচারে কমাল! বাড়িতেই মৌমাছি চাষ করেই বিপুল আয়ের রাস্তা
দ্রব্যমূল্য বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত কিছুরই দাম দিন দিন বেড়েই চলেছে এই পরিস্থিতিতে এই মূল্যে এত ভাল ও সুস্বাদু জল-খাবার আর কোথায় বা পাওয়া যায়! এত কম মূল্যে জলখাবার বিক্রি করলে তাদের লভ্যাংশ কত থাকে এটাই হল বড় প্রশ্ন বর্তমান বাজারে দাঁড়িয়ে ।
advertisement
সকাল ৬টা থেকে ১১টা পর্যন্ত প্রতিদিন চালু রাখা হয় দোকান। নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত দোকানটি চালু রাখায় দোকানটির খরিদ্দারও যথেষ্ট পরিমাণে। মূলত দোকানের মালিকের জানান, মাজদিয়া এলাকা একটি কৃষি প্রধান অঞ্চল। চাষীদের বসবাস বেশি। কঠোর পরিশ্রম করে তারা সবজির আড়তে ভ্যান ও সাইকেল নিয়ে আসে। সেই সময় কম মূল্যে সামান্য হালকা জলখাবার তাদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।
দেখে নিন জলসায় ঢুকতেই মমতাকে জড়িয়ে ধরলেন জয়া বচ্চন, বাকিটা রইল ভিডিওতে
এছাড়াও তার দোকানে স্কুলের ছাত্র, কলেজ পড়ুয়া চাষী, স্থানীয় লোকেরা নিম্নবর্গীয় উচ্চ বর্গীয় সমস্ত লোকেরা নির্দিষ্ট সময়ে পর্যন্ত তার দোকান থেকে এই লুচি জলখাবার হিসেবে ক্রয় করে নিয়ে যায় ও স্কুলের ছাত্ররা স্কুলের টিফিন হিসেবে নিয়ে যায়। তিনি বলেছেন প্রতি প্লেটে তার খুব অল্প পরিমাণে লাভ হয় কিন্তু বিক্রির পরিমাণ বেশি হওয়ায় তার লভ্যাংশের পরিমাণও বেশি হয়। বর্তমানে তার দোকানের খ্যাতি ও নাম ডাক সারা মাজদিয়া এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে।
দোকানে গ্রাহকের পরিমাণ অধিক হওয়ায় তার বিক্রি দিন দিন বেড়েই চলেছে। কম মূল্যে জলখাবার পাওয়া যাচ্ছে মানে এই নয় যে সেটি অপরিষ্কার ও খেতে সুস্বাদু না। প্রত্যেক গ্রাহকই দাবি করেছেন এই দোকানের লুচি ও ঘুগনি খেতে অত্যান্ত সুস্বাদু ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবে তাদেরকে পরিবেশন করা হয়। তিনটি লুচির সঙ্গে কাবলি ছোলা মটর ও আলু দিয়ে ঘুগনি সঙ্গে শশা ভুঝিয়া ও জল পরিবেশন করা হয় ।
দোকানের মালিক দাবি করেছেন এইভাবে যদি তার বিক্রি বাড়তে থাকে তাহলে তিনি এই পদ্ধতিটি চালু রাখার চেষ্টা করে যাবেন। এমনকি দোকানের মালিক একাই নিজের হাতে সমস্ত কিছু সামলে চলছে। তিনি একাই লুচি ভাজেন ও গ্রাহকদেরকে পরিবেশন ও পার্সেল হিসেবে তৈরি করে দেয়। সুতরাং বলাই বাহুল্য বৃদ্ধির বাজারেও আজও এই দোকানে ভিড় জমায় আট থেকে আশি সকলেই।
Mainak Debnath