৬০বছর বয়স পর্যন্ত তিনি নিঃসন্তান ছিলেন। নিজের দেশে ফিরে যাওয়া জন্য চিন্তা করেন কিন্তু তখন কৃষ্ণ চন্দ্র হোতা তিনি স্বপ্নাদেশ পান তোর কাছে আসছি তুই এখানে থাক। একবছর পর কন্যা সন্তান জন্ম দেন এবং তার নাম দেওয়া হয় করুনাময়ী, সেই করুনাময়ী দিনে দিনে বড় হতে থাকে। বাবা করুনাময়ী কে আগলে রাখতেন। কথিত আছে এই বিষ্ণুপুর ছিল জঙ্গল ও মহা শস্মান। দৈনিক অফিস থেকে ফেরার পথে কৃষ্ণ চন্দ্র হোতা তিনি ধ্যান করতেন বিষ্ণুপুরে বট বৃক্ষের তলায় এবং তার সামনে খেলা করতেন তার কন্যা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ফরাক্কাতে হঠাৎ ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি
একদিন মনে পড়ে অফিসে কোন জরুরি কাজ ফেলে এসেছেন কাশিমবাজার আবার যেতে হবে যদিও মেয়ে ক্লান্ত ছিল আর যেতে চাইনি সেই সময় তার পিতা পরিচিত শাখারি যাচ্ছেন রাস্তা দিয়ে দেখতে পান এবং তাকে বলা হয় তার সন্তান কে বাড়ি পৌঁছে দিতে, শাখারি সাথে নৌকা করে যাওয়া সময় হাত ছেড়ে জলের উপর বসে পড়ে করুনাময়ী। অনেক ডাকাডাকি করেও করুনাময়ী আর আসেননা এবং করুনাময়ী জেদ করে তার হাতে শাখা পড়িয়া দেওয়া হয়। সেই মতো শাখা পড়িয়ে দেন শাখারি।
আরও পড়ুনঃ আবারও মুর্শিদাবাদে মিলল আগ্নেয়াস্ত্র! উদ্ধার দেড় লক্ষ টাকার চোরাই সামগ্রী
এই কথা জানতে পারে তার পিতা এবং জলে এসে শাখা পড়া দুটো হাত দেখতে পান এবং সেই দুটি হাত জলে আন্তরিত হয়ে যায়। হোতা মেয়ে শোকে বিষ্ণুপুর মহা শস্মানে ধ্যানস্থ, এবং তিনি মায়ের দর্শন পান এক গাছের কঠুরিতে এবং তার পরেই মাকে এখানে প্রতিষ্ঠিত করা হয় দেবী কালীরুপে। কথিত আছে লালগোলা রাজা যগেন্দ্র নারায়ণ রায় এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেই কাল থেকে আজও পূজো হয়ে আসছে। দেবী এখানে চতুভুজা রুপে পূজিত হন । আজকে মহা শস্মানে পরিবর্তে বসেছে বিশেষ আলোকসজজা তাই আজও বহু মানুষ আসেন এই মন্দিরে কালীপুজো পুজো দিতে।
Koushik Adhikary