অনেকের মনে প্রশ্ন হতে পারে, কার্তিক সংক্রান্তিতে এত বিভিন্ন দেবতার পুজো কেন? আসলে এটা বিভিন্নতা নয়, বরং বৈচিত্র্য। হিন্দু সমাজের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্য সংহতি ও সম্প্রীতির জন্যই এই বৈচিত্র্য। হাজারো বিভিন্নতার মধ্যেও বেলডাঙ্গার হিন্দু সমাজ কার্তিক লড়াই ঘিরে এক ও ঐক্যবদ্ধ। এটাই এখানের পরম্পরা ও ঐতিহ্য।
আরও পড়ুনঃ অসুস্থ হলে আর ছুটতে হবে না হাসপাতালে, দুয়ারে পৌঁছবেন ডাক্তাররাই
advertisement
কথিত আছে, নাগপুরের মহারাজা সাহুজী ভোঁসলের নেতৃত্বে ১৭৪১ সাল থেকে ১৭৫১ সাল পর্যন্ত মারাঠা বাহিনী ছ’বার বাংলা আক্রমণ করে। চার লক্ষ হিন্দুকে নির্বিচারে হত্যা করে। বাংলার অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যায়। বাংলার নবাব আলীবর্দী খাঁ অবশেষে চুক্তির বিনিময়ে এই আক্রমণ প্রতিহত করেন।
কথিত আছে, বর্গীরা স্থল পথে দাপিয়ে বেড়ালেও হাতি ঘোড়া নিয়ে নদী পথে তাঁরা বিপন্ন হয়ে পড়ে। বেলডাঙ্গা তখন কয়েকটি ছোট ছোট নদীনালা বেষ্টিত জনপদ। হাতি ঘোড়া নিয়ে পড়ল বিপদে। বেলডাঙ্গা উত্তর পাড়া, দেবকুন্ডু গ্রামের পশ্চিমে বসতি পাতে। তাদের গড়, বাথান বেলডাঙ্গার বিভিন্ন পাড়ার পরিচয়ের সঙ্গে আজও যুক্ত। আজ থেকে প্রায় আড়াই শো বছর আগে বেলডাঙ্গা বড়ো পাড়ার ঘোষবাবুরা প্রথম ছুতোর পাড়ায় বাথান জেরের বুড়ো শিবের পুজো শুরু করেন। কার্তিক সংক্রান্তিতে এই পুজো অনুষ্ঠিত হয়। বুড়ো শিবের পুজো মুলত শৈব সম্প্রদায়ের। সেই থেকেই আজও মহাদেব এখানে বসা অবস্থায় পুজো হয়। যা দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন বহু সাধারণ মানুষ।
কৌশিক অধিকারী