জাকির হোসেনকে খুনের উদ্দেশ্যেই হামলা করা হয়েছিল। এমনই দাবী করা হয়েছে চার্জশীটে। প্রাথমিকভাবে এই বিস্ফোরণের তদন্ত শুরু করেছিল সিআইডি। সিআইডি সুত্রে জানা গিয়েছে, এই বিস্ফোরণ কান্ডে আব্দুল সামাদ এবং শহিদুল ইসলাম নামের দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল সিআইডি। যদিও একাধিকবার এনআইএ তদন্তের দাবি করেছিল জাকির হোসেন। পরে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে এনআইএ। চলতি বছরে ২৪শে আগস্ট প্রথম চার্জশীট দেয় এনআইএ। এনআইএ-র সেই চার্জশিটে নাম ছিল আব্দুল সামাদ এবং শহিদুল ইসলামের।
advertisement
আরও পড়ুনঃ সামনেই কার্তিক পুজো! লড়াই জমাতে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি
এই বছর জুন মাসে নিমতিতার বাসিন্দা ঈশা খান ওরফে ঈশা শেখকে গ্রেফতার করে এনআইএ। সাল্পিমেটারি চার্জশীটে নাম রয়েছে ঈশা খানের। সূত্রের খবর, বিস্ফোরক সরবরাহ করেছিল এই ঈশা খান। ২০২১ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে ট্রেন ধরতে গিয়ে নিমতিতা স্টেশনে বিস্ফোরণে গুরুতর ভাবে আহত হয়েছিলেন জাকির হোসেন, সেই সময় শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন জাকির। জাকির কলকাতায় দলীয় বৈঠকে যাওয়ার জন্য ট্রেন ধরতে নিমতিতা রেল স্টেশন হাঁটছিলেন।
আরও পড়ুনঃ সোমবার রাত থেকে নিখোঁজ থাকার পর দেহ উদ্ধার! প্রতিবাদে পথ অবরোধ
স্টেশনেই ২ ও ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝে অন্ধকারে পড়ে থাকা একটি ব্যাগে রাখা বোমার বিস্ফোরণ হয়। বোমা বিস্ফোরণ হামলায় আহত হন মোট ২৭জন। কাওরির পা চলে গিয়েছে, কাওরির হাত চলে গিয়েছে। ষ্টেশনে সেইদিন অন্ধকার করে রাখা হয়েছিল। বোমা ব্যাগের মধ্যে মজুত করে রাখা হয়েছিল। বোমা ফেটে জাকির হোসেন সহ একাধিক জন আহত হন। যদিও এখনও পর্যন্ত রেলের পক্ষ থেকে কোনও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। এনআইএ সঠিক তদন্ত দাবি করেছিলেন বিধায়ক জাকির হোসেন। অবশেষে সেই ঘটনায় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশীট দিল এনআইএ বলে জানা গিয়েছে।
Koushik Adhikary