লোক আদালতের কাজ হচ্ছে, সাধারণ মানুষের হয়রানি লাঘব ও মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মামলার দিন পেতে হয়রানির শিকার হতে হয় সাধারণ মানুষকে। এতে বিলম্বিত হয় মামলার রায়দান প্রক্রিয়া। মূলত পেন্ডিং কেস কম করার লক্ষ্য এই লোক আদালতের। ট্রাফিক আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ট্রাফিক কেস দায়ের করার পাশাপাশি দ্রুত নিষ্পত্তি করা প্রয়োজন বলে মত জেলা জজের।
advertisement
আরও পড়ুন- মুর্শিদাবাদের এই গ্রামে আত্মীয়তা করতে চাননা কেউ! কারণ জানলে আপনার চোখ কপালে উঠবে!
জেলা জজ ইন্দ্রনীল অধিকারীর কথায়, কলকাতার বাইরে পরীক্ষামূলক ভাবে এই প্রথম মুর্শিদাবাদ জেলাতে ভ্রাম্যমাণ লোক আদালত করা হল। সাধারণ মানুষকে দ্রুত কেস থেকে মুক্তি দেওয়াই হল আসল লক্ষ্য। এখানে মূলত ট্রাফিক কেস দ্রুত নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। মোটর ভেহিকেল আইনে যা যা কেস হয়, সেই কেসের দ্রুত নিষ্পত্তি করা হচ্ছে বহরমপুরে। তবে ট্রাফিক আইন না মানলে যেমন ফাইন করা হচ্ছে, ঠিক তেমনই মোটর ভেহিকেল অ্যাক্ট ধারায় গ্রেফতারের মামলাও করা হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে স্পট ফাইন দিয়ে তা দ্রুত নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। তার কারণ কোর্টে গেলে অনেকটা সময় ব্যয় হয়। ফলে লোক আদালতের মধ্যে দিয়েই ফাইন দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন- ঝড়ে উড়ে গেল ১৫ টি বাড়ির চাল! বজ্রাঘাতে মৃত ১, কালবৈশাখীর তান্ডব বড়ঞাতে!
অন্যদিকে, সাধারণ মানুষকে জানানো হচ্ছে মোটরবাইক চালাতে গিয়ে অতি অবশ্যই হেলমেট পড়া উচিৎ। নিজের জীবনের সাথে পরিবারের কথাও মাথায় রাখা উচিৎ বলে জানান তারা। বহরমপুরে এই ভ্রাম্যমাণ লোক আদালতের ফলে খুশি সাধারণ মানুষও।
Koushik Adhikary