এদিন লালবাগ আস্তাবল মোড় থেকে শুরু করে হাজারদুয়ারী (Hazarduari), ইচ্ছাগঞ্জ ঘাট পার হয়ে হীরাঝিল পর্যন্ত এক পদযাত্রায় সামিল হন এলাকার বাসিন্দারা। টোটো চালক ঘোড়ার গাড়ি চালক সহ সমস্ত ইতিহাস প্রেমী মানুষ সমবেত হন এই পদযাত্রাতে । প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের খুলনা থেকে আগত সিরাজউদ্দৌলার দশম বংশধর ‘সৈয়দা মাহমুদা’। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন লালবাগ SDPO বিক্রম প্রসাদ। জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ ঘোষ, পৌরপিতা, সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ স্বামীকে মৃত দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ! অদ্ভুত প্রতারণার শিকার বড়ঞার নুরজামাল
বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজদৌলার ভগ্নপ্রায় মনসুরগঞ্জ প্রাসাদ বা হীরাঝিল প্রাসাদে পলাশীর শহীদদের স্মরণে শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর ও বৃক্ষরোপণ করা হয়। একটি বৃক্ষের নাম দেওয়া হয় 'মীর মদন'। নদীগর্ভে চলে যাওয়া হীরাঝিলের ভাঙা ইটের পরতে পরতে লুকিয়ে থাকা সিরাজের স্মৃতির খোঁজে এখনও বেশ কিছু পর্যটক আসেন প্রতি বছর। কয়েক বছর ধরেই স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ হীরাঝিল সংরক্ষণের দাবিতে জনমত গঠনের চেষ্টা শুরু করেছিলেন। গত বর্ষায় ভগ্নস্তূপের কিছুটা অংশ ভেঙে পড়ে। এর পরই তৈরি হয় ‘হীরাঝিল বাঁচাও কমিটি’।
আরও পড়ুনঃ কন্যা সন্তান জন্মেছে, ‘বাপের বাড়ি’ থেকে টাকাও আনতে পারেনি বউ, স্বামী দিল ন্যাড়া করে
শুধু তাই নয়, ওই এলাকার শিশুদের জন্য ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে নবাব সিরাজদৌল্লা মুক্ত বিদ্যালয়। যেখানে পড়াশোনার পাশাপাশি সিরাজের জীবন নিয়েও অবগত করা হয় পড়ুয়াদের। চলে নানান সামাজিক কাজ। নিজেদের ইতিহাস বাঁচিয়ে তোলার পাঠ দিচ্ছেন সমর্পিতা। তাঁর কথায়, একটি জেলার সমস্ত কিছুতেই যখন সিরাজকে জড়িয়ে, তাহলে কেন সিরাজের অস্থিত্ব টিকিয়ে রাখতে উদ্যোগ নেওয়া হবে না? কেনই বা মুর্শিদাবাদের মানুষ সিরাজকে স্মরণ করে বাঁচবেন না? কেনই বা ভাগীরথীর তীর বেঁধে সংরক্ষণ হবে না বাংলার শেষ স্বাধীন নবাবের প্রাসাদ?
KOUSHIK ADHIKARY