জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেলে সোনা চোরাচালানের সম্ভাব্য প্রচেষ্টাকে বাতিল করেছে বিএসএফ। বিএসএফের ১৪১ ব্যাটেলিয়ন সূত্রে জানা গিয়েছে, সোনা পাচারের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকায় নজরদারী চালিয়ে তা ধরা গিয়েছে। ধৃত চোরাকারবারির নাম কারিবুল সেখ (২৪)। বাড়ি জলঙ্গির দক্ষিণ ঘোষপাড়ায়। ধৃত নিজেকে চোরাকারবারি সোনার বাহক স্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন: অসুস্থ হলেই ১৫টি গ্রামের মানুষকে ছুটতে হত সিউড়ি, এবার প্রত্যন্ত এলাকায় স্বাস্থ্যকেন্দ্র
advertisement
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, যার কাছে সব চেয়ে বেশি সোনা ছিল সেই কালুসেখ পালিয়ে গিয়েছে। তার বাড়িও জলঙ্গীর দক্ষিণ ঘোষপাড়ায়। উদ্ধার হওয়া বিপুল পরিমাণ সোনা দক্ষিণ ঘোষপাড়ার ইব্রাহিম মণ্ডলের। তার জন্য কালু সেখ বাংলাদেশ থেকে সোনা নিয়ে আসে। এবং সীমান্তের কাছ থেকে ওই সোনা আনার জন্য বাহককে নিযুক্ত করে।
ধৃত কারিবুল অবশ্য জানান, শনিবারই প্রথমবার তিনি গিয়েছিলেন এবং চারটি সোনার বিস্কুট এনেছিলেন সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে। তার জন্য তিনি ৮০০ টাকা মজুরি পেয়েছিল। ওই লোভে আবার গিয়েছিলেন একই কাজ করতে। কিন্তু সোনা হস্তান্তরের সময়েই বিএসএফ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাঁকে ধরে ফেলেছে। ১৪১ ব্যাটেলিয়ন সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ১৪ টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়েছে। যার ওজন ১ কেজি ৬৩২ গ্রাম।
মূলত সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে বাংলাদেশ থেকে সোনা পাচার করে থাকে চোরাচালানকারিরা। শুধু তা-ই নয়, মাঝে মাঝে ফেন্সিডিল পাচার হয়ে থাকে বাংলাদেশে। গত এক সপ্তাহে অনেক বাংলাদেশি ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করতে গিয়ে ধরা পড়ে। এবার বিএসএফের তৎপরতায় উদ্ধার হল সোনার বিস্কুট।
কৌশিক অধিকারী