নদিয়া জেলা শেষ করে মুর্শিদাবাদ জেলার রেজিনগর বিধানসভার অন্তর্গত লোকনাথপুরে শুরু হয় পদযাত্রা। নারকেলবাড়ি ঘাট, কামনগর হয়ে সাটুই হবাজারে পৌঁছায় এই পদযাত্রা। প্রায় ২২ কিলোমিটার পদযাত্রায় অংশ নেন কংগ্রেস কর্মীরা।
আরও পড়ুনঃ ভাইরাল অডিওতে বিধায়কের কণ্ঠস্বর? সামনেই আসতেই অস্বস্তিতে শাসকদল
আগামী সাত দিন ধরে মুর্শিদাবাদ জেলার প্রায় ২০ ব্লকের ওপর দিয়ে বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে এই পদযাত্রা অতিক্রম করে ফরাক্কাতে শেষ হবে। সেখান থেকে মালদহ জেলার পদযাত্রা শুরু হবে।আর কয়েক মাস বাদেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। পঞ্চায়েত ভোটের আগে নিজের গড়ে পদযাত্রায় নেমে শক্তি বাড়ানো নিয়ে আশাবাদী কংগ্রেস শিবির।
advertisement
তবে কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী কে সামনে পেয়ে গ্রামের বাসিন্দারা তারা রাস্তার বেহাল দশা নিয়ে অধীরের কাছে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
আরও পড়ুনঃ ২৮ থেকে ৫২৮ কোটি! তৃণমূলের ইলেক্টোরাল বন্ড নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী
যদিও অধীর চৌধুরী বলেন, একটা সময়ে কংগ্রেসের অধীনে ছিল জেলা পরিষদ। রাস্তা করার দায়িত্ব জেলা পরিষদের, ঘর দেওয়ার দায়িত্ব পঞ্চায়েতের। হাতে ক্ষমতা নেই তাই অসহায় তিনি। পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে লুটের রাজত্ব চলছে বাংলায়। সাধারণ মানুষের রুটি, রুজি, রাস্তা, ঘর নেই। বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বঞ্চনার ইতিহাসের কাহিনী বলছেন মানুষ। আমরা আমাদের অসহায়তার কথা বলছি, অক্ষমতার কথা বলছি। যখন জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি আমাদের ছিল। তখন মুর্শিদাবাদের সার্বিক উন্নয়নের কথা মানুষের মনে আছে তাই মানুষ আমাদের কাছে দাবি করছে।
দাবি পূরণ করতে না পেরে আমি দুঃখিত, যন্ত্রনাকাতর। তবে বহু সাধারণ মানুষ এই ভারত জোড়ো যাত্রাতে অংশগ্রহণ করছে এটা ভাল লাগছে বলেও জানান কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী।
কৌশিক অধিকারী