খবর সম্প্রচার হতেই নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। অবশেষে একজন স্থায়ী প্রধান শিক্ষক দেওয়া হয়। মহম্মদ ফিরোজ সেখ তিনি যোগদান করেন স্কুলে। তিনি যোগদান করতেই ফুল দিয়ে বরণ করে নেন স্কুলের পড়ুয়ারা। এছাড়াও এদিন থেকেই পঠন পাঠন শুরু হতেই খুশি সকলেই। এমনকি মিড ডে মিল পরিষেবা চালু করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সমৃতা রুদ্র। মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি শহরের জেমো বিশ্বাস পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়ে পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় ৭০ জন। এলাকার অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলে দুই শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: তিন পুরুষ ধরে একই স্কুলের পড়ুয়া, স্বাধীনতার বহু আগে শুরু পথচলা! এই সরকারি স্কুল জেলার গর্ব
কিন্তু অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে অর্ঘ্য পান টিআইসি চার্জ নিতে নারাজ। অন্যদিকে আরও একজনকে শিক্ষিকা মনজিলা পারভীন রয়েছেন। তিনিও টিআইসি চার্জ নিতে নারাজ ছিলেন। আর টিআইসি চার্জ না নেওয়ার কারণেই স্কুলে ১৫ দিন ধরে বন্ধ ছিল মিড-ডে-মিল পরিষেবা। যে কারণে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত হচ্ছিল এলাকার ছাত্র ও ছাত্রীরা। ব্যহত হয় পঠন পাঠন। স্কুলের পঠন পাঠন স্বাভাবিক আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে উপস্থিত হন অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সমৃতা রুদ্র । অভিভাবকদের অভিযোগ, ১৫ দিন ধরে মিড ডে মিল পরিষেবা বন্ধ, বিদ্যালয়কে জানানো সত্বেও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তাই এলাকার পড়ুয়ারা অনুপস্থিত থাকছিল। যদিও স্কুলের শিক্ষক অর্ঘ্য পান জানিয়েছেন, আমি শারীরিক অসুস্থ। সেই কারণে আমি টিআইসি চার্জ নিতে পারছি না। বারবার স্কুল শিক্ষা দফতরে আবেদন করলেও আমি কোনও সাড়া পাইনি। আর এই শিক্ষকের দ্বন্দ্ব মেটাতে এবং পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখেই অন্য একজন প্রধান শিক্ষককে যোগদান করানো হল। সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মহম্মদ ফিরোজ সেখ জানিয়েছেন, এই স্কুলে অচলাবস্থা কাটাতে আমাকে এখানে প্রধান শিক্ষকের পদ দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে স্কুলের পঠন পাঠন এমনকি মিড-ডে-মিল পরিষেবা স্বাভাবিক রাখব। এটাই আমার এখন বড় চ্যালেঞ্জ।





