মালদহের গাজোলের বাবুপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এক সময় চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২০ হাজারের বেশি সাধারণ মানুষ চিকিৎসা পরিষেবা পেতেন। হাসপাতালে ছিল উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা। জরুরি বিভাগ থেকে রোগী ভর্তির জন্য ছিল বেড। ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে পড়ে পরিষেবা। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, বিগত কয়েক বছর আগে এই হাসপাতালের আবাসনে এক স্বাস্থ্য কর্মী খুন হয়। তারপর থেকেই হাসপাতালের ছন্দপতন ঘটে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ সাব জুনিয়র শুটিং বল বাংলা দলে মালদহের চার খুদে
অনান্য স্বাস্থ্য কর্মীরা সেখানে থেকে চলে যায়। ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে পড়ে হাসপাতালের জরুরী বিভাগ ও ভর্তির ব্যবস্থা।বর্তমানে একজন হোমিওপ্যাথি ডাক্তার ও একজন এলোপ্যাথি ডাক্তার দিয়েই বইয়ের বিভাগ পরিষেবার চালু রয়েছে হাসপাতালের। সপ্তাহের কর্ম দিবস দিনগুলিতে দুই থেকে তিন ঘন্টা খোলা থাকে বইয়ের বিভাগ পরিষেবা। হাসপাতাল চত্বরে কোনো পরিকাঠামো না থাকায় হাসপাতালের জরাজীর্ণ কোয়াটার গুলিতে এলাকার বাসিন্দারা ঘুঁটে দেওয়ার জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বকেয়া বেতনের দাবিতে বেয়ারফুট টেকনিশিয়ানদের ডেপুটেশন
খুব শীঘ্রই তা সংস্কার করে চালু করা হোক সাধারণ মানুষের সাথে এমনটাই দাবি স্থানীয়দের।বাবুপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি পুনরায় চালু করলে অনেকটাই চাপ কমবে গাজোল গ্রামীণ হাসপাতালের। পাশাপাশি এলাকার চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েক হাজার বাসিন্দা চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন। তাই স্বাস্থ্য দফতর থেকে প্রশাসনের কাছে বারবার হাসপাতালটি পুনরায় চালুর দাবি তুলেছেন গ্রামের বাসিন্দারা।
Harashit Singha