একমাত্র সেতু তৈরি হলেই এই দুটি গ্রামের সঙ্গে মূল ভূখণ্ডের সরল যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। কিন্তু সেটার অভাবে আজও উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত শিবগঞ্জ ও বিধানগড় গ্রাম দুটি। রাজ্যজুড়ে যখন একের পর এক গ্রামের পরিকাঠামো বদলে যাচ্ছে সেই সময় মালদহের এই দুটি গ্রামের এমন বিপরীত ছবি গ্রামবাসীদের অসহায় পরিস্থিতিটাই আরও ভালো করে ফুটিয়ে তোলে।
advertisement
আরও পড়ুন: নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা তৈরি! পথশ্রীর কাজ বন্ধ করে দিল গ্রামবাসীরা
শিবগঞ্জ ও বিধানগড় মিলিয়ে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ বসবাস করেন। এখানকার মানুষের একটাই দাবি, স্থায়ী সেতু তৈরি করা হোক। এই দাবি নিয়ে তাঁরা বারংবার পঞ্চায়েত অফিস থেকে শুরু করে ব্লক প্রশাসন সবার কাছে দরবার করেছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। এই দুটি গ্রামের পাশে কয়েকশো একর চাষের জমি আছে। সেই চাষের জমিকে কেন্দ্র করেই এখানে জনবসতি গড়ে ওঠে। আজও গ্রামের মানুষের মূল জীবিকা চাষবাস। গ্রামবাসীদের দাবি, তাঁদের এখানে ফসল ভালোই উৎপন্ন হয়। কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় উৎপন্ন ফসল সেভাবে বাইরে বিক্রি করতে পারেন না। শুধু তাই নয়, গ্রামে যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় বর্তমানে অনেকেই গ্রাম ছাড়ছেন। এমনকি এই গ্রামে মেয়েদের বিয়ে দিতে চান না অনেকেই। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
এই প্রসঙ্গে মালদহ বিধানসভার বিধায়ক গোপাল সাহা জানান, গোপালগঞ্জ ও বিধানগড়ের মধ্যে স্থায়ী সেতু তৈরির জন্য তিনি প্রশাসনের কাছে আর্জি জানিয়েছেন। কিন্তু জেলা প্রশাসন কোনরকম উদ্যোগ গ্রহণ করছেন না। মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি এটিএম রফিকুল হোসেন জানান, রাজ্য সরকার গ্রাম বাংলায় রাস্তা, থেকে পানীয় জলের বহু উন্নয়ন কাজ করেছেন। তবে শিবগঞ্জ ও বিধানগড়ের মানুষের সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে আরও কিছুটা সময় লাগবে।
হরষিত সিংহ